গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফাফ ডু’প্লেসির নেতৃত্বাধীন আরসিবি ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। তবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শিখর ধাওয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে আরসিবি শিবিরকে চিন্তায় রাখছে ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগই। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৭৮ রানে পড়ে গিয়েছিল পাঁচ উইকেট। ডাগ আউটে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো মহাতারকা। খাতাই খুলতে পারেননি রজত পাতিদার। ক্যামেরন গ্রিনও ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ। ধুঁকতে থাকা ইনিংসে কিছুটা অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক ও অনুজ রাওয়াত। তবে সব সময় হেভিওয়েটদের ব্যর্থতা তাঁরা ঢেকে দেবেন, এমন আশা করা কঠিন। সেজন্যই কোহলি, ম্যাক্সওয়েল, গ্রিনদের ব্যাটে ঝড় দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা। তাছাড়া টি-২০ বিশ্বকাপের দলে আসার জন্যও স্ট্রাইক রেটে উন্নতি প্রয়োজন বিরাটের। রঙের উৎসবের দিনে তাঁর ব্যাটে ধুমধাড়াক্কার আশায় ভক্তরা।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আরসিবি পেসাররা আবার ক্রমাগত শর্টপিচ ডেলিভারির স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ডুবিয়েছেন। মহম্মদ সিরাজ, আলজারি জোসেফ ও যশ দয়াল ওভার প্রতি দু’টি বাউন্সারের নিয়মের ফায়দা তোলার চেষ্টায় লাইন-লেংথে খেই হারিয়েছেন। তিন পেসারই ওভার পিছু ৯ রানের বেশি খরচ করেছেন। অলরাউন্ডার গ্রিন দুই উইকেট নিলেও রানের গতি আটকাতে পারেননি। তিন স্পিনার মায়াঙ্ক ডাগর, কর্ণ শর্মা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও দাগ কাটতে ব্যর্থ। অথচ সিএসকে স্পিনাররা অনেক বেশি কার্যকরী হয়েছিলেন চিপকে। সোমবার চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠে আরসিবি স্পিনারদের কাজটা আরও কঠিন হতে চলেছে।
অন্যদিকে, শনিবার দিল্লির বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছে পাঞ্জাব। শিখরদের আত্মবিশ্বাস তাই তুঙ্গে। মিডল অর্ডারে স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন ভরসা জুগিয়েছেন। তবে জনি বেয়ারস্টো, জিতেশ শর্মা দশের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। অধিনায়ক শিখরও প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ। তবে বোলিংয়ে অর্শদীপ সিং, হার্শল প্যাটেলকে ছন্দে দেখা গিয়েছে। কাগিসো রাবাডার অভিজ্ঞতাও কাজে এসেছে। স্পিন আক্রমণে পাঞ্জাবের মূল ভরসা রাহুল চাহার।