বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলেন কোহলি। তবে দেশের জার্সিতে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচটা মোটেই সুখকর ছিল না তাঁর কাছে। মাত্র ১২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অভিষেক ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে সাফল্যের সরণিতে ফিরতে খুব বেশি দেরি হয়নি কোহলির। একের পর এক কীর্তি গড়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন ‘ভিকে’। ২০০৯ সালে ইডেনে প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানের স্বাদ পান তিনি। প্রতিপক্ষও ছিল সেই শ্রীলঙ্কা। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোহলিকে। এখনও পর্যন্ত ২৩৯টি ওয়ান ডে ম্যাচে ৪৩টি শতরান করে ফেলেছেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরির হিসাবে তাঁর সামনে রয়েছেন কেবলমাত্র শচীন তেন্ডুলকর। শচীন ৪৬৩টি ম্যাচে ৪৯টি শতরান করেছেন। লিটল মাস্টারকে স্পর্শ করতে বিরাটের দরকার আর মাত্র ৬টি সেঞ্চুরি। তবে শুধুমাত্র ওয়ান ডে ম্যাচেই নয়, টেস্টেও সমান ভাবে রাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ৭৭টি টেস্টে ২৫টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন কোহলি। সব মিলিয়ে তাঁর নামের পাশে এখন ৬৮টি আন্তর্জাতিক শতরান। টেস্ট এবং ওয়ান ডে মিলিয়ে এক দশকে ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রান পূর্ণ করে অনন্য ইতিহাস গড়েছেন কোহলি। তাই ক্রিকেট কেরিয়ারের একাদশ বর্ষপূর্তির মুহূর্তে আবেগঘন পোস্ট করলেন তিনি। নিজের টুইটার পেজে কোহলি লিখেছেন, ‘২০০৮ সালে এই দিনে একজন কিশোর হিসেবে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার পথচলা। দীর্ঘ ১১ বছরের সফরে ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি যে আশীর্বাদ পেয়েছি, তা আমার স্বপ্নেরও অতীত। প্রার্থনা করি, তোমরাও যেন তোমাদের স্বপ্নকে অনুসরণ করার শক্তি পাও। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে পারলেই সঠিক পথে এগনো সম্ভব।’ টুইটবার্তার সঙ্গে ২০০৮ সালের অভিষেক ম্যাচের এবং সাম্প্রতিক সময়ে তোলা দুটি ছবিও পোস্ট করেছেন ভারত অধিনায়ক।
ভারতীয় দল এখন ক্যারিবিয়ান সফরে ব্যস্ত রয়েছে। টি-টোয়েন্টি ও একদিনের সিরিজ জেতার পর কোহলিদের সামনে এখন টেস্ট সিরিজ।