বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা প্রথম ম্যাচে হারায় সামান্য হলেও মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা পেয়েছে রিয়াল। কোচ জিদান দল সাজান ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। আপফ্রন্টে করিম বেনজেমার দু’পাশে তিনি ব্যবহার করেন গ্যারেথ বেল ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঝমাঠে টনি ক্রুজ, লুকা মডরিচ ও কাসেমিরো। রক্ষণ সাজানোর প্রধান দায়িত্ব ছিল ওড্রিওজোলা, রাফায়েল ভারানে, সের্গিও র্যামোস ও মার্সেলোর উপর। দুর্গরক্ষায় দীর্ঘকায় কুর্তোয়া। ম্যাচের শুরুতে দুই উইং দিয়ে ভিনিসিয়াস ও গ্যারেথ বেলের গতি বিপদে ফেলে সেলতা ভিগো রক্ষণকে। ১২মিনিটে বাঁ দিক থেকে গ্যারেথ বেলের মাপা মাইনাস গোলে ঠেলতে অসুবিধা হয়নি ফরাসি তারকা করিম বেনজেমার (১-০)। এরপর রিয়ালের প্রাধান্য থাকলেও আসপাস-গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্ডেজদের দৌলতে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানিয়েছে ভিগোর ক্লাবটি। প্রথমার্ধের শেষ পর্বে সেলতার মেন্ডেজ গোল করলেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রারম্ভিক পর্বে ডেনিস সুয়ারেজকে অহেতুক ট্রিপ করে লাল কার্ড দেখেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডিও লুকা মডরিচ। ফলে বাকি সময় আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ পায় সেলতা ভিগো। ৫৮ মিনিটে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে নেওয়া আরাউজোর হেড দক্ষতার শীর্ষে উঠে রুখতে হয় কুর্তোয়াকে। এর মিনিট দুয়েক পরে বেনজেমার হেড পোস্টে ধাক্কা খায়। ৬১ মিনিটে দুরন্ত গোল করে দলকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে দেন টনি ক্রুজ। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর গোলার মতো শট ক্রসবারের নীচে লেগে জালে আশ্রয় নেয় (২-০)। শুধু সেলতা ভিগোর গোলরক্ষক রুবেন ব্ল্যাঙ্কো কেন, বিশ্বের কেউই এই শট রুখতে পারতেন না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। দু’গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সেলতা ভিগো ব্যবধান কমানোর জন্য আক্রমণে ঝাঁপায়। এই পর্বে রাফায়েল ভারানে ও মার্সেলো বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল মেলে ধরেছেন। ৮০ মিনিটে করিম বেনজেমার পাস থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা লুকাস ভাসকুয়েজ (৩-০)। উল্লেখ্য, এর আগে গ্যারেথ বেলের জায়গায় ইসকোকে মাঠে নামান কোচ জিদান। সংযোজিত সময়ে সেলতা ভিগোর হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি ইকের লোসাদার (৩-১)।