বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ইস্ট বেঙ্গল শতবর্ষের প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠানটি হবে ২৮ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব চেষ্টা করছে এই মশালটিকে যাতে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রজ্জ্বলিত রাখা যায়। তবে উপযুক্ত টেকনোলজির সন্ধান এখনও পাননি তাঁরা। সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত জানান, ‘আগামী দু’বছর চলবে এই উৎসব।’ শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্লাব সভাপতি নতুন লোগোর পাশাপাশি বেশ কিছু ‘জারগন’ (ফুটবল সম্পর্কিত শব্দবন্ধ) প্রকাশ করেন। কোনওটিতে লেখা ‘লড়াইয়ের ময়দানে একশো বছর’। আবার কোনওটিতে দেখা যাচ্ছে বলের বিবর্তনের ছবি। সঙ্গে লেখা বল বলছে, বদলায়নি বল দখলের লড়াই। আবার কোনটিতে রেডিও এবং মোবাইলের ছবি দিয়ে লেখা রেডিও রিলে থেকে, লাইভ স্ট্রিমিং, উন্মাদনার ১০০ বছর। সচিব বলেন,‘ইস্ট বেঙ্গলই বিশ্বের একমাত্র ক্লাব যাকে কেন্দ্র করে একটি ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর জীবন সংগ্রাম আবর্তিত হয়েছে দশকের পর দশক।’
আগামী ১ আগস্টের মূল শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে দেখা যাবে মঞ্চে। ভারত গৌরব পাবেন কপিল দেব। তিনি অতীতে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলেছেন। পি সেন ট্রফিতে কপিল খেলেছিলেন লাল হলুদ জার্সিতেই। নয়ের দশকের মাঝামাঝি যুবভারতীতে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে একটি প্রদর্শনী ম্যাচেও খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বুধবার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শতবর্ষে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পাওয়া দুই ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ভাস্কর গাঙ্গুলি। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে শতবর্ষের সেরা কোচের স্বীকৃতি পাচ্ছেন পি কে ব্যানার্জি। ‘কোচ অফ কোচেস’ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে এই প্রবীণ কোচকে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তাঁর কোচিংয়ে ট্রফিতে ভরে গিয়েছিল লাল হলুদ তাঁবু। সেদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে সংবর্ধনাও দেওয়া হবে তাঁকে। উপস্থিত থাকছেন সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ওই দিন উপস্থিত থাকবেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব ই-মেল পাঠিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার কথা বললেও বুধবার জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় আসেননি তিনি। আগামী ১৩ আগস্ট ইস্ট বেঙ্গলের ক্রীড়া দিবসে জীবিত প্রায় ৪২ জন ফুটবলারকে সংবর্ধনা জানানো হবে। সেদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। এবার রেফারি হিসাবে জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন রত্নাঙ্কুর ঘোষ এবং সুনীল মল্লিক। ১ আগস্ট অতীতের দিকপাল লাল হলুদ কর্তাদের পরিবারের সদস্যদের জানানো হবে সম্মান।