লন্ডন, ১৬ জুন: টেকনিক ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েই ব্যাটিংয়ে তিনি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছেন বলে জানালেন অ্যারন ফিনচ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মনে করছেন, নিজের খেলায় এই রদবদল আনতে না পারলে তাঁর ক্রিকেট জীবনে এতদিনে ছেদ পড়ে যেতেও পারত। কিন্তু কঠিন সময়ে হাজারো সমালোচনার মাঝে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখে উন্নতির প্রয়াস চালিয়ে যাওয়াই তাঁকে সাফল্যের পথে ফিরিয়ে এনেছে।
ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন অ্যারন ফিনচ। এর আগে বিশ্বকাপে অজি অধিনায়কদের মধ্যে সর্বাধিক ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ছিল রিকি পন্টিংয়ের। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে জোহানেসবার্গে ভারতের বিপক্ষে ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পন্টিং। ১৬ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে দেন ফিনচ। শুধু তাই নয়, রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়ার পর দেশের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কেরিয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস টপকে যাওয়ার সুযোগও ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু অল্পের জন্য সেটা পারেননি ফিনচ। এ বছরই শারজাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কেরিয়ার সেরা ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অজি ওপেনারটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ১৫৩ রানেই থেমে যান তিনি। ২০১৯ সালটা দারুণ কাটছে ফিনচের। ১৮টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ৩টি সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ-সেঞ্চুরি সহকারে ৯৭৭ রান করেছেন তিনি।
অথচ বছর দুয়েক আগে নিজের অফ-ফর্ম এবং দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতার জেরে প্রায় দল থেকে বাদ পড়তে বসেছিলেন ফিনচ। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো দেড়শো রানের ইনিংস খেলার পর সেই দুঃসময়ের কথা নিজেই টেনে আনলেন অজি অধিনায়ক। ফিনচ বলেন, ‘একটা সময় জোরাল হয়েছিল আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবি। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে হাল ছাড়িনি আমি। বরং নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের টেকনিকে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছি আমি। বদল ঘটিয়েছি মানসিকতারও। আর তারই সুফল পেয়েছি হাতেনাতে। আশা করি, এই ছন্দ বজায় রেখে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতেও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব।’ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। হেরেছে একটি মাত্র ম্যাচে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেও এখনই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ অজি অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘টুর্নামেন্টের এখনও দীর্ঘ পথ বাকি। তাই এখনই আবেগে আত্মহারা হওয়ার প্রশ্ন নেই। আমাদের লক্ষ্য ধাপে ধাপে এগনো।’ এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ক জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো ছন্দে রয়েছে দল। আমি নিজেও বেশ উপভোগ করছি খেলাটা। যদি ফিট থাকি তবে সবকটি ম্যাচেই খেলব।’