বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে ম্যাচে বাদ সাধতে পারে বৃষ্টি। সেরকই পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় হাওয়া অফিস। গত কয়েকদিন ধরেই নটিংহ্যামে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। জল জমে গিয়েছে রাস্তায়। হলুদ সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে আশার কথা, বুধবার সকালে বৃষ্টি না হওয়ায় ঘণ্টা দু’য়েক নেট প্র্যাকটিস সেরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। তবে ফের বৃষ্টি নামায় নিউজিল্যান্ডের প্র্যাকটিস ভেস্তে যায়। ম্যাচের দিন মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তেমন হলে ওভার সংখ্যা কমবে। ন্যূনতম ৪০ ওভারের ম্যাচ হলে দুই দল খেলবে ২০ ওভার করে।
শিখর ধাওয়ানের চোট ভারতকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে। ধাওয়ান গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু বুড়ো আঙুলে চোট লাগায় তিনি ফিল্ডিং করতে পারেননি। চোট সারিয়ে ফিরতে তাঁর কমপক্ষে দু’সপ্তাহ সময় লাগবে। স্ট্যান্ডবাই হিসাবে ঋষভ পন্থকে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে আনা হচ্ছে। তবে তাঁকে এখনই খেলানো হবে না। তাই ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে কিউয়িদের বিরুদ্ধে রহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করবেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে লোকেশ রাহুল অনেক ম্যাচে ওপেন করেছেন। বেশ কিছু বড় স্কোরও রয়েছে তাঁর। তাছাড়া ভারতের হাতে আর কোনও বিকল্প নেই। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লোকেশ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তিন নম্বরে নামবেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। গত ম্যাচে বড় রান করেছেন। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন ভিকে। ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে রহিত, কোহলিদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। এখন প্রশ্ন চার নম্বরে তাহলে কাকে খেলানো হবে? লড়াইটা মূলত বিজয় শঙ্কর ও দীনেশ কার্তিকের মধ্যে। তবে নেটে বিজয় আগে ব্যাট করেছেন। যা দেখে অনেকে বলছেন, বিজয়কে খেলানো হবে। তবে ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর পজিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো চার নম্বরে খেলতে নামা ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব। ভারত যদি ব্যাটিংকে শক্তিশালী করতে চায়, তাহলে দীনেশ কার্তিকের খেলার সম্ভাবনা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। যদিও বিজয় শঙ্করকে নিলে বোলিং অপশন বাড়বে।
নটিংহ্যামে গত কয়েকদিন দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উইকেট থেকে প্রারম্ভিক পর্বে পেসাররা সুবিধা পেতে পারেন। সেকথা মাথায় রেখে প্রথম একাদশ সাজাতে হবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিজয় শঙ্করকে যদি খেলানো হয়, তাহলে ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন চোখে পড়তে পারে। তখন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে চার নম্বরে তুলে এনে পাঁচে কেদার যাদবকে খেলানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ছয়ে বিজয় শঙ্কর ও সাত নম্বরে হার্দিক পান্ডিয়ার খেলার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে ম্যাচ সিচুয়েশনের উপর।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে দুই স্পিনার খেলানোর দিকে হাঁটতে পারেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। প্রথম পছন্দ অবশ্যই কুল-চা জুটি। গত দু’টি ম্যাচেই কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল খেলেছেন। দারুণ ছন্দে আছেন চাহাল। প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে না পারলেও কুলদীপের উপর আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদি রবীন্দ্র জাদেজাকে খেলানো হয়, সেক্ষেত্রে বসানো হবে কুলদীপকে। পার্টটাইম স্পিনারের কাজটা করে দিতে পারবেন কেদার। দারুণ ছন্দে আছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরাহ। সামি ফিরলে পেস বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে। তবে সামি ফিরলে একজন স্পিনারকে বাদ দিতে হবে। মেঘলা পরিবেশে ভারতের উচিত তিন স্পেশালিস্ট পেসার খেলানো। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহম্মদ সামির রেকর্ড খুবই ভালো।
নিউজিল্যান্ডও কিন্তু তাল ঠুকছে। কেন উইলিয়ামসনরা জানেন, ভারতকে এই ম্যাচে হারিয়ে দিতে পারলে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার দৌড়ে তাঁরা অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না। ধাওয়ানের চোট ভারতকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ঠিকই, তবে তা পূরণ করার মতো রসদ রয়েছে কোহলিদের হাতে। কিউয়িরা তিনটি ম্যাচই জিতেছে তুলনামূলকভাবে সহজ প্রতিপক্ষের (শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ) বিরুদ্ধে। স্পষ্ট বলা যায়, কিউয়িদের কাছে এটাই সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ।
মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন কলিন মুনরো অথবা হেনরি নিকোলাস। তবে কিউয়িদের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর। মিডল অর্ডারে টম লাথাম নিঃসন্দেহে বড় নাম। জেমস নিশামের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। খেলানো হবে স্পিনার মিচেল স্যান্টনারকেও। তবে ট্রেন্ট ব্রিজের বাইশহজে ভারতের বড় অস্ত্র যদি হয়ে থাকেন যশপ্রীত বুমরাহ, তাহলে ট্রেন্ট বোল্টও ছেড়ে কথা বলবেন না। তাঁর সঙ্গে লকি ফার্গুসন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলবেন। বৃহস্পতিবার লকির জন্মদিন। ভারতকে হারানোটাই হবে তাঁর কাছে জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার। তৃতীয় পেসার হিসাবে টিম সাউদি বা ম্যাট হেনরির মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হতে পারে। তবে নিউজিল্যান্ডের তিন পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি।