বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উইকেট কিপিংয়ে এখনও যতই ক্ষিপ্রতা ধরে রাখুন না কেন, একদা বিশ্বের সেরা ফিনিশার ধোনির ব্যাটের ধার অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বছর ব্যাট হাতে সময়টা তাঁর একেবারেই ভালো যায়নি। ফলে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে প্রাক্তন অধিনায়কের প্রথম এগারোয় থাকা নিয়ে। তবু তাঁকে রেখেই চলছে ভারতের ২০১৯ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা। ধোনির ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে এতটুকু চিন্তিত নন রহিত শর্মা। বরং তাঁর কাছে ধোনি থাকা মানেই দলে একজন পথ প্রদর্শক থাকা। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ শুরুর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রহিত বলেন, ‘এত বছর ধরে আমরা দেখেছি, ড্রেসিং রুম ও মাঠে ধোনির উপস্থিতি কতটা ভরসাদায়ক। ওর সান্নিধ্যে দলের মধ্যে একটা স্বস্তি ও শান্তির আবহ বিরাজ করে, যা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া ওর উপস্থিতি অধিনায়কের কাছেও স্বস্তিদায়ক। কারণ ওর হাত সর্বদাই সহযোগিতার জন্য প্রসারিত। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে মাঠের যাবতীয় পরিস্থিতি সে দারুণ দক্ষতায় বুঝে নিতে পারে।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধোনি দীর্ঘদিন ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রচুর সাফল্য পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বিপুল। ওর মতো খেলোয়াড় দলে থাকাটা অত্যন্ত উপকারী। তাই এমএসডি হচ্ছে আমাদের কাছে দিশারির মতো।’
পর পর দুটো টি-২০ সিরিজে বাদ পড়ার পর ধোনিকে আবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা দেখিয়ে রহিত বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডারের পরের দিকে নেমে ম্যাচ শেষ করে ফেরার স্বাভাবিক দক্ষতা ওর মধ্যে রয়েছে। অতীতে সে বহুবার আমাদের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। ধোনির ফিনিশিং টাচ এখনও দলের কাছে খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে ওর শান্ত স্বভাব ও পরামর্শ তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে ধোনির উপস্থিতিটাই দলের কাছে মস্ত বড় ব্যাপার।’
ইংল্যান্ডের মাটিতে চার মাস পরেই শুরু হচ্ছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ভারতীয় দল ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রহিত। শুধু তাই নয়, দলও মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর অভিমত। সদ্যজাত কন্যাকে দেখে বুধবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া তারকা ব্যাটসম্যানটির কথায়, ‘এখন আমরা বিশ্বকাপ প্রস্তুতি পর্বের মধ্যেই রয়েছি। গত ১৩টি ম্যাচে মোটামুটি একই দল মাঠে নেমেছে। আর সেই দলটাই বিশ্বকাপে খেলবে। বড়জোর দু’একটা পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে আমাদের চোট আঘাত এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সজাগ থাকাটা জরুরি।’