সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মাঠে নাড়া পোড়ালে মাটির গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার সহ ১৭টি মৌল গাছের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এগুলি গাছের মধ্যেই থাকে। নাড়া পোড়ানোর ফলে, ওই সব মৌল বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হয়ে বাতাসে মিশছে। আর এ থেকে দূষণও বাড়ছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠে যাতে নাড়া পোড়ানো না হয় তার জন্য ধারাবাহিক ভাবে সচেতনতা প্রচার করা হয়।
বর্তমানে মজুরের অভাবে অনেক জায়গায় বীজ বোনা থেকে ধান কাটা, সবটাই হয় ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টর’ যন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু যন্ত্রে ধান কাটার পরে, অপেক্ষাকৃত বড় গোড়া পড়ে থাকে জমিতে। ধান ঝাড়ার পরে, প্রচুর টুকরো খড়ও পড়ে থাকে। এ সব সাফ করার লোক মিলছে না। আবার বিকল্প পদ্ধতিতে জৈব সার তৈরি করা গেলেও তা সময় সাপেক্ষ। জমিতে আগুন দিলে সময় ও খরচ, দুই-ই বাঁচে। সেজন্যই মাঠের খড় নষ্ট করার জন্য কিছু চাষি ভর দুপুরে বা বিকেলের দিকে নিজেদের জমির খড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে আসছেন। কৃষি আধিকারিকরা বলেন, যেহেতু প্রচণ্ড তাপ এবং দাবদাহ চলছে, তাই একটি জমিতে আগুন লাগালে সেই ফুলকি পাশের জমিতে পড়ে খড় বা ধান সহ গাছ সবই পুড়ে যাচ্ছে। ফলে চাষিরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
দাসপুর থানার তাজপুরে কাশীনাথ মাজি ও বাঁশরী সামন্ত, রানাগ্রামের জগন্নাথ মাজি, পায়রাশির গোপাল পাঁজা প্রমুখ বলেন, মাঠের ধারেকাছে কোথাও জলের উৎস নেই। খাল-নালা সব শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে সেই আগুন নেভাতে চাষিদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি ওই থানার দরিঅযোধ্যার মাঠে নাড়ার আগুন নেভাতে বহু দূর থেকে জল নিয়ে লাঠির বাড়ি দিয়ে বহু কষ্ট করতে হয়েছে।
কৃষিদপ্তর জানাচ্ছে, জমি থেকে নাড়া তোলার জন্য ঘাটালে বর্তমানে বহু মালচার এবং বেলার মেশিন ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে। তা দিয়েই নাড়া বান্ডিল করা যায় নতুবা জমিতেই পচানোর জন্য ছোট-ছোট টুকরো কাটা যায়। সেটা চাষের পক্ষে ভালো হবে। কিন্তু কৃষিজমিতে আগুন দিলে জমির নরম মাটির সঙ্গে উপকারী পোকা-প্রাণী, জীবাণু ও কেঁচোও নষ্ট হয়ে যায়। চাষের ক্ষতিই হয়। এটা চাষিদের কোনও ভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, আজ মঙ্গলবার তাজপুর এলাকার কিছু চাষিকে এনিয়ে আমাদের অফিসে ডাকা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নাড়া পোড়ানো নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা হবে।