সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাকর জানার নেতৃত্বে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মী সংগঠনের ডেপুটেশন চলাকালীন ম্যানেজারকে মারধর করা হয়। ঘটনার সময় দিবাকর শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিল। ওই ঘটনায় দিবাকরকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি তার জেলও হয়। পরবর্তীকালে জামিন পেলেও পার্টি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ায় তার আর পদে ফেরা হয়নি। তারপর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বোল্ডার দুর্নীতি মামলায় আবারও পুলিসের হাতে ধরা পড়ে দিবাকর জানা। ওই মামলায় শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সেলিম আলিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১১১ দিন জেল খাটার পর তারা জামিনে ছাড়া পায়। দিবাকরের মতো সেলিমকেও দল থেকে তাড়ানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে দু’জনে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে দলের ভোট কান্ডারি হওয়া সত্ত্বেও দুর্নীতির প্রশ্নে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
সম্প্রতি দিবাকর জানার অনুগামীদের উপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু, দিবাকর এবং সেলিমের প্রতি কঠোর অবস্থানের বদল হয়নি। এই অবস্থায় দিবাকরকে ভোটের কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি। দিবাকরের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিলে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে দলের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হতে পারে। সেই আশঙ্কায় সরাসরি দলে অন্তর্ভুক্ত না করিয়ে ভোটের দিন তার সার্ভিস পেতে চাইছে বিজেপি। সেজন্য কৌশলে জনচেতনা মঞ্চ তৈরি করে তাঁর আহ্বায়ক করা হয়েছে দিবাকরকে। মঙ্গলবারের সভার জন্য আমন্ত্রণপত্র ছেপে বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে ‘মিশন লোটাস’ অ্যাজেন্ডায় সভার ডাক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে যে কোনও জায়গায় অপারেশন কিংবা ভোটের সময় দিবাকরের ডাক পড়ত। ২০১৭ সালে পাঁশকুড়া পুরসভা নির্বাচনে দিবাকরের বাহিনীকে দাপাতে দেখেছেন শহরবাসী। তমলুক এবং হলদিয়া পুরসভা ভোটের সময়ও তার ডাক পড়ত। এবার লোকসভা ভোটে তার সার্ভিস চাইছে বিজেপি। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে, এবার সরাসরি কোনও দলের ক্যাডার না হয়ে দিবাকর ফুটবলে খেপ খেলার মতো ভোটের ময়দানে নামবেন।
এনিয়ে দিবাকর বলেন, আমি ২০২১ সাল থেকে ভোটের সময়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছি। নিজে সরাসরি পার্টিতে যোগ দিইনি। তবে, ভোট এলে বিজেপির হয়ে কাজ করি। এবারও শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করব। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার একটি সভা ডাকা হয়েছে। আমার পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস করা সম্ভব নয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি শরৎ মেট্যা বলেন, ২০২১ সাল থেকে দিবাকর পরোক্ষে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও অনেক জায়গায় নির্দল প্রার্থী দিয়েছিল। আমরা সেসব মোকাবিলা করেছি। তবে, ওর সঙ্গীসাথীদের অনেকেই এখন আমাদের পার্টির হয়ে কাজ করছেন। লোকসভা ভোটে দিবাকর কোনও ফ্যাক্টর নয়। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে আমাদের লিড নিশ্চিত।