সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
পুরুলিয়ার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ওষুধ নিয়ে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য প্রতুলবাবু। অন্যান্য দিন প্রতুলবাবুর যিনি গাড়ি চালান, তিনি রবিবার ছিলেন না। অন্য একজন প্রতুলবাবুর গাড়ি চালাচ্ছিলেন। প্রতুলবাবুর নিরাপত্তারক্ষী পুলিসকর্মীও তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। কাশবহাল এলাকার আগে তাঁর গাড়ির সামনে অন্য একটি গাড়ি বাধার সৃষ্টি করে। ওই গাড়িতে ধৃত তিন যুবক সহ চারজন ছিল। একটি সরু কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতুলবাবুর গাড়ি চালকের সঙ্গে ধৃত যুবকদের বচসা হয়। এরপরই ধৃত যুবকরা প্রতুলবাবুর চালককে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করতে শুরু করে। প্রতুলবাবু গাড়ি থেকে নেমে তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। একটি ইলেক্ট্রিক খুঁটিতে ধাক্কা মারা হয়। গলা টিপে তাঁকে শূন্যে তুলে ধরা হয়। এমনকী তাঁর বুকেও আঘাত করা হয়। ঘটনার জেরে প্রতুলবাবু সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। এক যুবক পালিয়ে গেলেও গাড়ি সহ তিনজনকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মারধরের সময় প্রতুলবাবু নিজেই থানায় ফোন করেছিলেন। তাঁকে মারধর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। দ্রুত বরাবাজার থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এক পুলিস কর্মী জানান, প্রতুলবাবুর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তিনি অক্সিজেন চাইছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে বরাবাজার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিস জানিয়েছে, তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা খুনের অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই প্রতুলবাবুকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের কদমা এলাকার তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পালিয়ে গিয়েছে। তার খোঁজ চলছে।
ওই রাতেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত, সহ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুশান্ত মাহাত এবং রাজীবলোচন সোরেন হাসপাতালে পৌঁছন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রয়াত নেতাকে শোকবার্তা পাঠানো হয়।
সোমবার মৃতদের ময়নাতদন্তের পর প্রতুলবাবুর দেহ পুরুলিয়া জেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে জেলা পরিষদের তরফে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তাঁর মৃতদেহ বরাবাজার পৌঁছতেই রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। ঘটনায় শোকস্তব্ধ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, পুলিস প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।