রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, খড়্গপুর, নারায়ণগড়, বেলদা, দাঁতন প্রভৃতি এলাকায় রামনবমী উদযাপনে বিজেপিকে রীতিমতো পিছনে ফেলে দিল তৃণমূল। বুধবার বেলদার গান্ধী মোড় থেকে মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় তৃণমূল প্রভাবিত একটি ক্লাব। কয়েকশো তৃণমূল কর্মীকে এনিয়ে সেই মিছিলে যোগ দেন স্থানীয় বিধায়ক সূর্য অট্ট। মাথায় গেরুয়া পাগড়ি, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে অস্ত্র হাতে মিছিল করতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। সেই মিছিলেই অতি উত্সাহে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হন তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে, দাঁতন পেট্রল পাম্প থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রায় পা মেলান বিধায়ক বিক্রম প্রধান, তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। বিজেপির একসময়ের ‘গড়’ কেশিয়াড়িতেও রামনবমী পালনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করল তৃণমূল।
এদিন রামনবমী উপলক্ষ্যে দাঁতনে বাইক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা, নাজারগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় আয়োজিত রামপুজোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পাল্টা মেদিনীপুর শহরের রামমন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। সন্ধ্যায় খড়্গপুর শহরে রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দেন। গদা হাতে নিয়ে ঘোরেন জুন। রামমন্দিরে পুজোও দেন তিনি। ডেবরায় রামনবমীর মিছিলে বিজেপি প্রার্থী হিরণ যোগ দিলে পাল্টা ঘাটালের কলেজ মোড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন দেব। তৃণমূলের রামভক্তি দেখে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার কটাক্ষ, ‘যিনি জয় শ্রীরামকে গালাগাল মনে করতেন তৃণমূলের দলনেত্রী, সেই তৃণমূলই ভোট পেতে রামনবমী পালন করছে। এসব তৃণমূল নেতাদের লজ্জা করে না?’ পাল্টা জুন বলেন, ‘রাম কারও একার নয়। রামকে কেউ কিডন্যাপ করবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব তা হবে না।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা বলেন, দুই দলই প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতায় মেতেছে। এধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে রোখার বদলে তাতে তোল্লা দিচ্ছে তৃণমূল ও প্রশাসন। যে সংস্কৃতির আমদানি হচ্ছে বাংলায়, এর ফল আগামীতে বাংলার মানুষকেই ভুগতে হবে।