রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপাতত ১৫টি এরকম গাড়ি কেনা হলেও আগামী দিনে এর সংখ্যা আরও বাড়বে। আশা করছি, এতে শহরের দূষণ সমস্যা অনেকটাই মিটবে। ছোট গাড়িতে আবর্জনা সংগ্রহের ফলে এতদিন জ্বালানির খরচও বেশি হতো। এখন সেটা বেশ কিছুটা সাশ্রয় হবে। এতদিন শহরের আবর্জনা ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলতে যেতে অনেকটাই সমস্যা হতো। আবর্জনাবোঝাই উন্মুক্ত গাড়ি শহরের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াত। শহরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় রাখা একাধিক স্থায়ী ডাস্টবিন ভেঙে ফেলতেও হয়েছে। আবার পুরসভার তরফে বসানো প্লাস্টিকের ডাস্টবিন রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যায়। ফলে অনেক জায়গায় রাস্তার পাশেই আবর্জনা ডাঁই করে রাখা হয়। যে কারণে কোর্ট মোড়, ওল্ড বহরমপুর রোড, বিশ্বাসপাড়া, দেচৌধুরীপাড়া সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনার কারণে শহরের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শহরের বাসিন্দা দেবাংশু সিকদার বলেন, কয়েক মাস আগে আবর্জনার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছিল পুরসভা। সেখানে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে পুরসভার সাফাইকর্মীরা আবর্জনা সংগ্রহে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু সেই কাজও এখন আর হয় না। পুরসভা জানিয়েছে, এখন থেকে রানাঘাট শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তার পাশে এবং ২০টি ওয়ার্ডেই একটি করে ঢাকনাযুক্ত ভ্রাম্যমাণ গাড়ি রাখা হবে। সেটির ভেতরেই ওয়ার্ডের আবর্জনা এনে জড়ো করে রাখা হবে। ওই গাড়ি আবর্জনায় ভরে গেলে তা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। এই সমস্ত গাড়িতে হাইড্রলিক সিস্টেম থাকায় আবর্জনামুক্ত করতে সময় লাগবে না। এক-একটি হাইড্রলিক ট্রলার কিনতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই গাড়ির সাহায্যে রানাঘাটকে ‘ক্লিন সিটি’র তকমা দিতে পুরসভা জোর তৎপরতা শুরু করেছে।