গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুরে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে লেখা হল, ‘তিহারে বসেই খেলা হবে’। অর্থাৎ তিহারে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল যে সেখান থেকেই ‘খেলবেন’ সেই ইঙ্গিত দেওয়া ছিল। তার পরদিন ঠিক পাশের দেওয়ালে বিজেপি লিখল, ‘খেলতে খেলতে তিহার গেলে, সঙ্গে নিয়ে মেয়ে। বাকিরা সব বসে আছে, তোমার দিকে চেয়ে। ডাকবে কবে, বল তুমি ডাকবে কবে?’ দুই দলের দেওয়াল লিখনে এমন ধরনের আকচা আকচি শুরু হয়েছে। এমনিতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির রেডারে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রানাথ সিনহা। তিনি অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিজেপির দেওয়াল লিখনে সেই ইঙ্গিত করা হল কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। আবার অন্যদিকে, দেওয়াল লিখনে শাসকদল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা ফলাও করে তুলে ধরছে। ‘১০০ দিনের কাজের টাকা মোদি সরকার দিল না কেন, জবাব দাও’, কিংবা ‘আবাস যোজনার টাকা না দিয়ে গরিবের টাকা মেরে দেওয়া বিজেপিকে একটাও ভোট নয়’। এমনই সব স্লোগান লেখা চলছে দিনরাত। আবার সেই সঙ্গে নানা ব্যঙ্গাত্মক চিত্রও তুলে ধরা হচ্ছে। যেমন, ভগবান রামের হাত টেনে ধরছে মোদি। আর বলছেন, ‘এবারটা উদ্ধার করে দাও যেমন করে হোক’। অর্থাৎ শাসকদল বোঝাতে চাইছে, রামের নামে ভোট চেয়ে মোদি ভোট বৈতরণী পেরতে চাইছেন। উল্টোদিকে সন্দেশখালির মতো ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদলের নেতাদের নারী নির্যাতনের ছবি একে তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিজেপি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দেওয়াল লিখনে কীভাবে যুযুধান দুই গোষ্ঠীর লড়াই জমে উঠেছে।
বাম-কংগ্রেসের সেই অর্থে দেওয়াল লিখন না হলেও প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার চলছে। একদিকে কংগ্রেসের মিল্টন রসিদ আর অন্যদিকে সিপিএমের শ্যামলী প্রধানের নামেও দেওয়াল লেখা চলছে। রাঙামাটির বীরভূমের লোকসভার পারদ চড়চড়িয়ে চড়ছে। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী বলেন, যে যেমন খুশি দেওয়াল লিখতে পারে। সারাজীবন ওরা অনুব্রত মণ্ডলকে ভয় পেয়েছে, এটা তো নতুন কিছু নয়। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া কিছু নেই। পাল্টা দেওয়াল লিখতেই পারে। কিন্তু ওদের এই বীরভূম আসনে কেউই প্রার্থী হতে চাইছেন না। কারণ ওঁরা জানেন, এটা অনুব্রতর নিজের হাতে তৈরি করা শক্ত ঘাঁটি।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, আমাদের দেওয়াল ওরা মুছে দিচ্ছে ভয়ে। কিন্তু যাই করুক, মানুষের মন থেকে মুছতে পারবে না।