বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার নীলকান্ত মণ্ডল ও তাঁর মা শিখা মণ্ডলের পারিবারিক অশান্তি নিত্যদিনের। সোমবার বিকেলেও তাঁদের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। সেসময় নীলকান্তর বাড়ি লাগোয়া পুকুরঘাটে যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী যুবতী রুবি কয়াল। তিনি বলেন, সেসময় নীলকান্ত আমাকে দেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বলতে থাকেন, আমরাই নাকি তাঁর মায়ের কাছে কানাঘুষো করে তাঁদের পরিবারে অশান্তি লাগাচ্ছি। আমি প্রতিবাদ করলে বচসা চরমে ওঠে। নিজেকে সিভিক ভলান্টিয়ার দাবি করে আমাকে বলেন তোকে প্রাণে মেরে ফেলব। কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। এই বলে হঠাৎই একটি বাঁশ দিয়ে আমাকে পেটানোর পর মাথায় আঘাত করে। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। চিৎকার শুনে আমার মা বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। মেরে মায়ের দু’টি দাঁত ভেঙে দিয়েছে। হাতেও বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ওই মা ও মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে রক্তাক্ত ওই যুবতী ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে তাঁদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর মাথায় সাতটি সেলাই পড়েছে। করা হয়েছে সিটিস্ক্যানও। অন্যদিকে শিখাদেবীর হাতে চিড় ধরেছে। তবে, প্রতিবেশী প্রৌঢ়ার সঙ্গে মেলামেশার মাশুল এভাবে গুনতে হবে তা ভাবেননি মা ও মেয়ে।
এদিকে মা ও মেয়েকে এভাবে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে। বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবেশী হয়ে প্রতিবেশীর বিপদআপদে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করছে বলে এভাবে আইন হাতে তুলে মহিলাদের পেটাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এলাকাবাসীর আরও দাবি, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নিজেকে বড় পুলিস অফিসার ভাবেন। যখন তখন গ্রামবাসীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আধিকারিকদের বিষয়টি দেখা উচিত।
যদিও ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নীলকান্ত বলেন, মায়ের সঙ্গে আমার ও স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তি চলছিল। সেসময় রুরিরা মাথা গলাতে আসে। আমি বলি, আমাদের অশান্তির মধ্যে তোমরা আসছ কেন। এনিয়ে ওদের সঙ্গেও অশান্তি লেগে যায়। ওরা আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে মারতে শুরু করে। তখন আমার স্ত্রী বাঁশ দিয়ে রুবির মাথায় আঘাত করে। তাঁর দাবি, আমি যেহেতু সিভিকের কাজ করি, তাই আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। আমি কাউকে মারধর করিনি। আমার স্ত্রীকেও রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও রুবি বলেন, আমরা তিন বোন। ভাই নেই। বাবা কাজে গিয়েছিলেন। আমরা মেয়ে হয়ে তাঁকে মারতে যাব! মিথ্যা কথা বলছেন নীলকান্ত। ওঁ নিজেই আমাদের মারধর করে চাকরি বাঁচাতে এখন তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীর নামে দোষ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, থানায় জানানো সত্ত্বেও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিস।
যদিও রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক সৌম্যজিৎ বরুয়া বলেন, বিষয়টি জানা আছে। সিভিক ভলান্টিয়ার তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।