কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ঝাড়গ্রাম তল্লাট চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সাঁওতালি মাধ্যমে ডিএলএড কোর্স (পিটিটিআই) চালুর দাবিতে এদিন জেলাজুড়ে অবরোধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। এই দাবিতে এদিন সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করে আদিবাসী সংগঠন। এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি মোড়ে, বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদার মোড়ে, লালগড় ব্লকের রামগড় বাজারে, জামবনী ব্লকের পড়িহাটি মোড়ে, ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে সারদা স্কুল মোড়ে, বেলিয়াবেড়া ব্লকের তপসিয়া মোড়ে, বিনপুর-১ ব্লকের নামোশোল রাস্তায়, সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকটি বাজারে এবং নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকামাথানির মোড়ে অবরোধে করে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের সদস্যরা। কোথাও রাস্তায় বসে পাথর ও গাছের ডাল দিয়ে, আবার কোথাও ফ্লেক্স টাঙিয়ে অবরোধ করা হয়। ফলে, সকাল থেকেই রাস্তায় কোনও যাত্রীবাহী বাসের দেখা মেলেনি। সাধারণ মানুষ পথে বেরিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়েন। অনেকেই অবরোধের খবর জানতেন না। ফলে, স্ট্যান্ডে এসে ঘণ্টার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। বহু জায়গায় এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়। ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথার মোড়ে বাসের অপেক্ষায় এদিন বহু যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাস না পাওয়ায় দিনভর সাধারণ মানুষ নাকাল হন। নিত্যযাত্রী থেকে পথ চলতি মানুষজনও সমস্যায় পড়েন। কাজের দিনে হঠাৎ অবরোধের মুখে পড়ে অনেকেই গন্তব্যস্থলে যেতে পারেননি। জেলাজুড়ে কোথাও বাস বা বড় গাড়ি চলাচল করেনি। যার ফলে সুযোগ বুঝে কোপ মেরেছে মারুতি ও প্রাইভেট গাড়ির চালকরা। এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য মোটা টাকা হাঁকিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই বাধ্য হয়ে সেই গাড়িতে যাতায়াত করেছেন।
এদিন বিকেল থেকে অবরোধ আরও জোরদার করে আদিবাসী সংগঠন। প্রতিটি জায়গায় অবরোধের জেরে ভোগান্তি বাড়তে থাকে। প্রতিটি জায়গায় অবরোধকারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে জেলাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বারবার নানা ইস্যুতে অবরোধের জেরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রেই আগাম কোনও খবরও থাকছে না। আদিবাসী সংগঠনের উপদেষ্টা শিবশঙ্কর সরেন ও সংগঠনের তল্লাট নেতা পালহান সরেন বলেন, সরকার এনিয়ে দু’টি নোটিস জারি করেছে। দু’টিই আমরা দেখেছি। কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা নেই, কোন বছর থেকে ডিএলএড কোর্স চালু করা হবে। শুধু লেখা আছে, নেক্সট ইয়ার। ফলে, সরকারিভাবে এনিয়ে সঠিক তথ্য আমরা পাচ্ছি না। আমাদের দাবি, এবছর থেকেই সাঁওতালি মাধ্যমে টিচার ট্রেনিং চালু করতে হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে পথ অবরোধ চালিয়ে যাব।