বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কৃষ্ণগঞ্জ আটপাড়া ষোলোআনা রাস উৎসব কমিটির সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রবিলোচন দে বলেন, রাস উৎসবের সূচনার দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দ্বিতীয়দিনে ‘দুধলিচি’ প্রসাদ বিতরণ করা হবে। তৃতীয় দিন বিকেলে কচিকাঁচাদের রাধাকৃষ্ণ সাজার প্রতিযোগিতা হবে। চতুর্থ দিন নাটক ও নেশামুক্তি বিষয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হবে। শেষের দিন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী, পুরোহিতদের সংবর্ধনা ও বিচিত্রানুষ্ঠান হবে। এছাড়াও সূচনার দিন থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত প্রায় ১৮টি মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ কৃষ্ণগঞ্জের রাধালালজিউ মন্দিরের দাওয়ায় সাজিয়ে রাখা হবে। তাঁদের জন্য পৃথক কক্ষ করা হবে। প্রতিদিন রাত ১০টার সময় বাজি পোড়ানোর পর সব ক’টি ঠাকুরের একযোগে আরতি অনুষ্ঠান হবে। ওই ১৮টি ঠাকুরের পুরোহিতদের রাসের শেষের দিন সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিদিন রাজভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাধবগঞ্জে এগারোপাড়া ষোলো আনা কমিটির সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, পাড়ার রাধামদনগোপাল জিউয়ের মন্দিরে মূল রাস উৎসব হয়। মঙ্গলবার সূচনার দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন মন্দির থেকে আনা প্রায় ৪০ জোড়া বিগ্রহকে হোমযজ্ঞের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দ্বিতীয় দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি লোকগানের অনুষ্ঠান হবে। তৃতীয় দিন বসে আঁকো এবং যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা হবে। চতুর্থদিন ঝুমুর ও ব্যান্ডের অনুষ্ঠান হবে। শেষের দিনে ধর্মীয় আলোচনা সভা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন রাত ১০টার সময় একযোগে সবকটি বিগ্রহের আরতি হবে। উৎসব উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহরে মল্লরাজাদের সময় থেকে রাস উৎসব পালিত হচ্ছে। মল্লরাজাদের আমলে রাস উৎসব খুবই জনপ্রিয় ছিল। উৎসবের সময় আশেপাশের গ্রামে অবস্থিত বিভিন্ন মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ এনে পুজো করা হতো। ঐতিহাসিক রাসমঞ্চের দ্বারে দ্বারে তা সাজিয়ে রাখা হতো। পরবর্তীকালে রাসমঞ্চে রাস উৎসব বন্ধ হলেও প্রায় আড়াইশো বছর ধরে কৃষ্ণগঞ্জ ও মাধগঞ্জে রাস উৎসব হয়ে আসছে। কৃষ্ণগঞ্জে আটপাড়া ও মাধবগঞ্জে এগারোপাড়া ষোলো আনা কমিটি রাস উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই গঞ্জেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমে।
স্থানীয় বাসিন্দা তারকনাথ দে বলেন, বিষ্ণুপুর শহরে রাস উৎসব দেখতে আশেপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা দুই গঞ্জে ভিড় করেন। বিশেষ করে রাস উপলক্ষে রাধামদন গোপালজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় হয়।
ওই মেলা কমিটির সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, মন্দির চত্বরে জায়গাটি সংকীর্ণ। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে মূল সাংস্কৃতিক মঞ্চটি মন্দিরের বাইরে বাজার প্রাঙ্গণে করা হবে।