বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দাঁতনের সাউটিয়ায় বিজেপির সন্ত্রাসের পঞ্চায়েতের সভাও করা যাচ্ছে না বলে তৃণমূল আগেই অভিযোগ তুলেছে। সাউটিয়া এলাকারই সামসারা গ্রামে বুধবার রাতে তৃণমূল কর্মীদের উপর বিজেপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ পাত্র বলেন, সাউটিয়ায় বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখে ফেরার সময় সামসারা গ্রামে আমাদের কর্মীদের ঘিরে বিজেপির লোকজন লোহার রড, লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। পুলিস গিয়ে চারজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের একজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শক্তি নায়েক বলেন, এখানে একসময় তৃণমূল সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছে। লোকসভা ভোটের পর বাসিন্দারা ঘুরে দাঁড়ানোয় ওদের অত্যাচারিত নেতা-কর্মীরা এলাকাছাড়া ছিলেন। কয়েকদিন হল কয়েকজন ফিরে এসেছেন। বুধবার তাঁরা মোহনপুরে তৃণমূলের মিটিংয়ে গিয়েছেন জানতে পেরে গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমাদের তিনজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে ঠিকই। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হবে না।
বেলদা পুলিস মহকুমার এসডিপিও সুমনকান্তি ঘোষ বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের হরিশপুরে বুধবার বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। সেই সময় পাশের এলাহিগঞ্জ গ্রামে তৃণমূলের হামলায় চারজন জখম হন বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ওদের কী একটা সভা ছিল। সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাধে। ওরা সেই বিরোধের জের গ্রামে নিয়ে আসে। সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়। মানুষ তা প্রতিরোধ করেছেন। আমরা আমাদের দলের কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি।