বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বর্ধমান শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পূর্ব বর্ধমান জেলার এই কিষাণ খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত, নারায়ণ হাজরা, বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, নার্গিস বেগম প্রমুখ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। গোটা জেলা থেকে সংগঠনের প্রচুর নেতা-কর্মী হাজির হয়েছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বেচারাম মান্না কড়া ভাষায় বলেন, যাঁরা দলে থেকে কাজ করছেন না, অথচ পদ দখল করে রয়েছেন, তাঁরা বসে যান। আপনাদের দরকার নেই। নতুনদের সুযোগ দিন। তাঁরা নতুন উদ্যমে কাজ করবেন। তিনি বলেন, হকাররা যেভাবে নানা কথা বলে নিজেদের মালপত্র বিক্রি করেন, এখন আমাদের সবাইকে সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন প্রচার করতে হবে। সিপিএম এক শতাংশ কাজ করে ৯৯ শতাংশ প্রচার করত। অথচ, মুখ্যমন্ত্রী ১০০ শতাংশ করলেও আমাদের অনেকেই এক শতাংশও প্রচার করছেন না। প্রচার করতে হবে। প্রচার করার জন্য শিখতেও হবে। তথ্য ও পরিসংখ্যান জোগাড় করে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করুন।
তিনি বলেন, গা ঝাড়া দিয়ে উঠুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষিক্ষেত্রে যা যা উন্নয়ন করেছেন আমাদের সবাইকে প্রচার করতে হবে। রাজ্যর ৩৪২টি ব্লকের মধ্যে ১৯৭টি কিষাণ মাণ্ডি করেছেন তিনি। কৃষি পেনশন দিচ্ছেন। এইগুলি সব প্রচার করতে হবে। আপনি কী কাজ করছে, কী আচরণ করছেন, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু সবই লক্ষ্য রাখছেন। আপনি ভাবছেন, কেউ কিছু দেখতে পাচ্ছে না। এটা নয়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের দলেরই একজন বিধায়ক দিদিকে বলো কর্মসূচিতে রাত্রিবাস করতে গিয়েছিলেন এক কর্মীর বাড়িতে। কিন্তু, সেখানে না থেকে কিছুক্ষণ পরই পালিয়ে যান। কিছুটা দূরে যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন চলে আসে। ধরা পড়ে যান। তিনি আরও বলেন, ২৩ আগস্ট থেকে আমাদের সংগঠনের নেতারা একেবারে খেতে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে দিদিকে বলো কর্মসূচি করছেন। আমাদের সংগঠনের কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। ঘষে মেজে সংগঠনকে চকচক করে তুলুন। এখন আর বাড়িতে বসে থাকার সময় নয়।