বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মোট ৮৩জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। একজন অস্থায়ী শিক্ষকই তাঁদের পড়ান। তিনি কোনও কারণে স্কুলে আসতে না পারলে স্কুল পরিচালন কমিটিকে কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। স্কুলে রয়েছে একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ। তাই পড়ুয়াদের নিজেদের স্কুল থেকে প্রায় ৫০০মিটার দূরে বামনখানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য সতীনাথ চক্রবর্তী বলেন, ২০১৬ সালে স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের উদ্যোগে কোনও রকমে তা চলছে। স্কুলটি শুরুর দিকে তিনজন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা অবসর নেওয়ার কারণে বর্তমানে স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এছাড়া স্কুলে নেই কোনও আলাদা ক্লাস রুম। তাই নিজেদের স্কুল পরিত্যাগ করে স্থানীয় অন্য একটি একটি প্রাইমারি স্কুলের ক্লাসরুমে ওদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি।
স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক অশোক কুমার সামন্ত বলেন, স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যদের অনুরোধে সামান্য পারিশ্রমিকে আমি এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছি। কিন্তু, আমার একার পক্ষে চারটি পৃথক ক্লাস নেওয়া কখনই সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ হলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
তারক শাসমল নামে এক অভিভাবক বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ খরচ হলেও এই স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। প্রায় চার বছর হয়ে গেল সরকারি তরফে স্কুলে স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। ফলে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত।
বিষয়টি নিয়ে খানাকুল-১ বিডিও অচিন্ত্য মণ্ডল বলেন, ওই স্কুলের সমস্যার কথা জানিয়ে কেউ কোনও আবেদন করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।