বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির ৫নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়ার বাসিন্দা সৌগত চক্রবর্তীর ছেলে অনন্যর গত মঙ্গলবার শহরেরই একটি নার্সিংহোমে ফাইমোসিস অপারেশন করা হয়। অস্ত্রোপচার চলাকালীন সেখানকারই কর্মীরা তার গান গাওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও তুলে রাখেন। সেই ভিডিও-তে অনন্যকে অপারেশন চলাকালীন দীর্ঘক্ষণ গান গাইতে দেখা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অনন্যর জন্য যখন সবাই উদ্বিগ্ন, তখন সে খোলা মনে গান গাইছে। তার মনের এই অদম্য শক্তিতে পরিবারের সদস্যদের মনে ভরসা এসেছে।
শুক্রবার অনন্য বলে, অপারেশনের সময় ডাক্তারবাবু আমাকে গান গাইতে বলেছিল। আমি গান গেয়েছি। আমি যে গানগুলি শিখেছি সেগুলিই ওইদিন গেয়েছি।
ওইদিন নার্সিংহোমে সিউড়ি সদর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দীপককুমার মুখোপাধ্যায় অনন্যর অস্ত্রোপচার করেছেন। তিনি বলেন, ২৭বছর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। সাধারণত ওই বয়সের শিশুদের অস্ত্রোপচার করতে গেলে অজ্ঞান করতে হয়। অনেকে ভীষণ ভয় পায়। অপারেশন থিয়েটারে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। কিন্তু, অনন্য মানসিকভাবে অনেক সাহসী। আমরা তার মনে সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছিলাম। তখন সে নিজেই অনর্গল গান গেয়েছে। অস্ত্রোপচার করার সময় আমরা এতে অবাক হয়েছি। এই ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। পুরো অজ্ঞান না করে ফাইমোসিস অপারেশনের অংশটুকু অবশ করে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
অনন্য বর্তমানে একটি বেসরকারি স্কুলে প্রভাত শ্রেণীতে পড়ে। বয়স মাত্র ছ’ বছর। তার বাবা সৌগতবাবু পেশায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। মা গৃহবধূ। অনন্যর বাবা সৌগতবাবু বলেন, ছেলের মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় এর আগেও পাওয়া গিয়েছে। দরজায় আঙুলের আঘাত লাগলেও সে কোনওরকম কষ্ট বুঝতে দেয়নি। অনন্যর মা সৌমী চক্রবর্তী বলেন, ছেলের অপরেশন হওয়ার সময় আমরা বাইরে খুব চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু, সে আমাকে উদ্বিগ্ন দেখে পাল্টা সাহস জুগিয়েছে।