বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন কলেজে একটি সংস্থা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাসিং করতে এসেছিল। সেজন্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রুমিং করার কথা ছিল। সেইসময় কিছু ছাত্র কলেজে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। তার ফলে ক্যাম্পাসিং বন্ধ হয়ে যায়। আমার ঘরে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের মূল গেটেও তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অল্পবিস্তর ভাঙচুরও করা হয়েছে। পরে প্রাক্তন কিছু নেতৃত্বস্তরের ছাত্র ঘেরাওমুক্ত করেন। ক্যাম্পাসিং বন্ধ হয়ে যাওয়াটা খারাপ হল। কিছু ছাত্রছাত্রীর চাকরির সুযোগ ছিল।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজ বীরভূম জেলার অন্যতম। সেখানে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিয়ে কিছুদিন আগেই গণ্ডগোল হয়। এক অধ্যাপক ছাত্র ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তার জেরে সেই অধ্যাপককে ছাত্রদের একাংশ মানসিকভাবে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে অন্য অধ্যাপকরা কলেজে প্রতীকী কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ পালন করেন। বন্ধ রাখা হয় পঠনপাঠনও।
এদিন ফের কলেজে ছাত্রদের একাংশের দ্বারাই গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। এদিন ওই কলেজে একটি সংস্থার তরফে ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গ্রুমিং করার কথা ছিল। সেই সময়ই কিছু ছাত্র সেখানে গোলমাল পাকিয়ে তা ভণ্ডুল করে দেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অধ্যক্ষকে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভের জেরে এদিন সেখানে দুপুর ২টো নাগাদ ফিনান্স কমিটির বৈঠক ডাকা হলেও তা ভেস্তে যায়। গভর্নিং বডির এক সদস্য বৈঠক করার জন্য কলেজে গেলেও বিক্ষোভের জেরে তা সফল হয়নি। এদিনও কলেজের পঠনপাঠনে আংশিক প্রভাব পড়েছে।
বিক্ষোভকারী কয়েকজন ছাত্রের দাবি, কলেজে নবীনবরণের অনুষ্ঠান করতে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া গত ১৫আগস্ট রাখীবন্ধন উৎসব পালন করার জন্য আড়াই হাজার টাকা চাওয়া হলেও কলেজের তরফে দেওয়া হয়নি। তাই অনুষ্ঠানটি হয়নি। এব্যাপারে ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এদিন টাকা চাওয়া হয়। অধ্যক্ষ তা না দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে কলেজে কোনও ছাত্র সংসদ নেই। কয়েকবছর ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। তাই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অধ্যক্ষ বলেন, টাকা দেওয়ার জন্য ফিনান্স কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে গভর্নিং বডির সদস্যদের স্বাক্ষর করিয়ে তবেই টাকা দেওয়া যায়। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। তাই মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাত্রকে অনুষ্ঠান আয়োজনের টাকা দেওয়া যায় না। সেজন্য বিক্ষোভকারী ছাত্রদের বলা হয়েছে ফিনান্স কমিটিকে দাবি জানাতে। তবে, এদিনের ঘটনায় থানায় খবর দিইনি।
ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা বলেন, এদিন কিছু ছাত্র নবীনবরণ অনুষ্ঠান পালনের জন্য টাকা চাইতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন কলেজের ঘটনা জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। তারপর যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা করা হবে।