বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাজ্যে চিটফান্ডে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার পর অন্যান্য পোস্ট অফিসের সঙ্গে ওই পোস্ট অফিসেও সাধারণ মানুষের টাকা জমা রাখার প্রবণতা বাড়ে। গোবিন্দনগর গ্রামের রাজীব দাস, প্রসেনজিৎ শী, মায়া পাল, প্রদীপ চক্রবর্তী, নিতাই মান্না প্রমুখ জানান, তাঁরা ডাকঘরের বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁদের টাকা রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন, চিটফান্ডে অনেকে টাকা জলে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে তাঁদের টাকা সুরক্ষিত থাকবে।
রাজীববাবু বলেন, ওই ভাবেই চলছিল। ২০১৬ সালে ডাকঘরে প্রথমে কয়েকজন গ্রাহক পাসবই আপটেড করাতে গিয়ে দেখেন, পাসবইয়ের সঙ্গে ডাকঘরের রেজিস্টারের টাকার অঙ্ক মেলেনি। ওই ধরনের গরমিল বহু গ্রাহকের হয়েছিল। তখনই সকলের টনক নড়ে।
বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকরা সেই সময়েই ডাকঘেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন। তদন্তে জানা যায়, তৎকালীন পোস্টমাস্টার গ্রাহকদের পাসবইয়ে টাকা এন্ট্রি করলেও অফিসের রেজিস্টারে তা তুলতেন না। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি যে সমস্ত গ্রাহকের পাসবইয়ে গরমিল দেখা দেয়, তাঁদের পাসবই সংগ্রহ করে নেওয়া হয়।
রাজীববাবু ও প্রশান্তবাবু বলেন, ওঁকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিলেও আমরা তিনবছর ধরে আমাদের টাকা ফেরত পাইনি। কেউ মেয়ের বিয়ে, কেউ চিকিৎসা খরচ, কেউবা সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গ্রাহকরা এনিয়ে বারবার এলাকার সাব পোস্ট অফিস, ইন্সপেক্টর এবং জেলা ডাক বিভাগের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পোস্ট অফিসের সঙ্গে বারবার দেখা করে স্মারকলিপি দিচ্ছেন। কিন্তু, কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না। গ্রাহকরা বলেন, ডাকঘরে টাকা রেখেও যে পথে বসতে হবে, তা আগে কখনও ভাবিনি।