বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বড়জোড়ার বিডিও ভাস্কর রায় বলেন, কাজ বন্ধ করে দিয়ে যাঁরা ধর্নায় বসেছেন, তাঁরা অনৈতিক কাজ করেছেন। কারণ কর্তৃপক্ষ ও ভূমিহারাদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভূমিহারা ও শ্রমিক পরিবারদের সমস্যা সমাধানের পর পুনর্বাসনের ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে। কিন্তু এভাবে কাজ বন্ধ করে দিলে পুলিস আইনত ব্যবস্থা নেবে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি মেনে পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে সরকার যে নির্দেশ দেবে, আমরা সেইমতো কাজ করব। ডিপিএল কর্তৃপক্ষের তরফে এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে নিধুরাম কাঁড়ার বলেন, আমাদের গ্রামটি একেবারে কোলিয়ারি লাগোয়া। আগে কয়লা উত্তোলনের সময় যেভাবে ব্লাস্ট হতো, তাতে আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় পাথরের টুকরো ছিটকে এসে বাড়ির উঠোনে পড়ছিল। সেই সময় আমরা জেলা প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষের কাছে অন্যত্র পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি মেনে প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, চুনপোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু কোলিয়ারি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর কিছুই হয়নি। বর্তমানে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ কয়লাখনির দায়িত্ব পাওয়ায় আমরা তাদের কাছেও বারবার একই দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি আগের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিমতো বাস্তুহারা পরিবারগুলি থেকে একজন করে চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।
বিক্ষোভকারী আনন্দ মণ্ডল বলেন, ফের ব্লাস্টিং শুরু হবে। খনি থেকে পাথর ছিটকে এসে গ্রামের উপর পড়বে। যে কোনও সময় আমাদের বাড়িঘর ভেঙে যেতে পারে। তাই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হলে আমরা কোনওমতেই কাজ শুরু করতে দেব না। সিপিএম নেতা সুজয় চৌধুরী বলেন, ডব্লুএমডিটিসি চুক্তি করে প্যাকেজ ঘোষণা করার পরেও তা পূরণ করেনি। এই সংস্থাও যে তা করতে পারে, গ্রামবাসীদের সেই সন্দেহ অমূলক নয়। দাবিগুলি মিটিয়ে কাজ শুরু হোক, আমরা সেটাই চাই। তৃণমূলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, দাবিগুলি নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে আলোচনা হয়েছে। পদ্ধতি মেনেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। বিজেপি নেতা সুজিত অগস্থি বলেন, ঘর পোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা সেই আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন। চুনপোড়ার বাসিন্দারা তো কোনও অন্যায্য দাবিতে ধর্নায় বসেননি। তাই আমরা সবসময় ওদের পাশে রয়েছি। কংগ্রেস নেতা নারায়ণচন্দ্র খাঁ বলেন, শাসক দলের কিছু নেতার মদতেই খনি কর্তৃপক্ষ দাবিগুলি নিয়ে নীরব।