বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালে সাপে কাটা এক মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি প্রামাণিক(৩০)। তাঁর বাড়ি সুতাহাটার দুর্বাবেড়িয়ায়। গোয়ালঘরে কাজ করার সময় তাঁকে বিষাক্ত সাপে কামড়ায়। দুপুর ১টা ১০মিনিট নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই মহিলার মৃত্যুর পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। পুলিস জানিয়েছে, হাসপাতালে গণ্ডগোল পাকানো এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে এদিন সন্ধ্যা নাগাদ মৃতের এক আত্মীয় শঙ্করী প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণ্ডগোলের ঘটনায় দুর্গাচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, এদিন দুপুরে সাপে কাটা ওই মহিলা ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে ইমার্জেন্সিতে কিছুক্ষণ অবজারভেশনে রাখা হয়। তাঁর পায়ে সাপে কাটার চিহ্ন দেখার পর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সেই সময় তাঁকে জেনারেল ফিমেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাঁর রক্ত জমাট বাঁধছে কি না তার পরীক্ষা করা পর চিকিৎসকরা ওই রোগীর মধ্যে ‘নিউরোপ্যাথিক সিমটম’ দেখতে পান। রোগীর শরীর ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে এবং প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এইচডিইউয়ে পাঠানো হয়। সেই সময় তাঁর পালস রেট ক্রমশ কমছিল। সেখানে বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনাম ইঞ্জেকশন ও অন্যান্য চিকিৎসা শুরু হয়। এইচডিইউতে চিকিৎসা শুরুর সময়েই ওই মহিলার মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাপে কাটা রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করতে দীর্ঘক্ষণ সময় নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যে সময়ে তিনি ফিমেল ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তখন কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তাঁদের দাবি, রোগীকে সময়মতো রেফার করে দিলে তিনি বেঁচে যেতেন। হাসপাতালের ডাক্তাররা প্রথমে বিষাক্ত সাপ কামড়েছে কি না তা-ই বুঝতে পারছিলেন না। তাঁদের ভুলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর এক আত্মীয় ইমার্জেন্সিতে ঢুকে টেবিল চাপড়ান ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। হাসপাতাল সুপার তাঁকে বোঝাতে যেতেই পরিবারের পুরুষ সদস্যরা এসে সুপারকে জোরে ধাক্কা মারেন। এর পরই হাসপাতালের লোকজনের সঙ্গে মৃতের পরিবারের হাতাহাতি শুরু হয়।
সুপার সুমনা দাশগুপ্ত বলেন, যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃতের পরিবারের প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহানুভূতিশীল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময়মতোই চিকিৎসা করেছে এবং রোগীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন ডাক্তারবাবুরা। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পরিবারের কিছু লোকজন গণ্ডগোল করে এবং আমাকে ধাক্কা মারে। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।