বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রবিবার পুরুলিয়া শহরের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সংলগ্ন একটি ওষুধ দোকানের দেওয়ালে প্রথম পোস্টারটি চোখে পড়ে প্রাতঃভ্রমণকারী তৃণমূল নেতাকর্মীদের। মৃগাঙ্কবাবুর ছবি দেওয়া ওই রঙিন পোস্টারের তলায় ছাপা অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘অহঙ্কারের পতন হল’। এছাড়াও শহরের আরও একাধিক জায়গায় এবং পুরুলিয়া শহর সংলগ্ন রাঁচি রোডের ধারে থাকা একটি লাইন হোটেলেও ওই পোস্টার সাঁটা ছিল। শহরের ওষুধ দোকানের দেওয়ালে ওই পোস্টার সাঁটার খবর চাউর হতেই হৈ চৈ পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরুলিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডল, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মী। ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা।
এবিষয়ে বৈদ্যনাথবাবু বলেন, আড়ালে কাপুরুষের মতো কাজ এই কাজ করেছে বিজেপি। সাহস থাকলে প্রকৃত পুরুষের মতো কাজ করুক। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। ওরা রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতেই পারে। রাজনৈতিক আন্দোলন যত খুশি করুক, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণ মেনে নেওয়া হবে না। এধরনের ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনার প্রতিবাদ করার পাশাপাশি থানাতেও অভিযোগ করা হয়েছে। যাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা হয় তার দাবি জানাচ্ছি। রাজনৈতিক ভাবেও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। পুলিসের উপস্থিতিতে ওই পোস্টার খুলে ফেলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি। পুরুলিয়া শহর বিজেপির সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল। এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়, আমরা দলে বা দলের বাইরের প্রত্যেককে সম্মান দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পরাজয় নিয়ে ওরা একে অপরের বিরুদ্ধে এখন দোষ দিচ্ছে। এই ঘটনা তারই প্রতিফলন মাত্র। ঘটনার সঙ্গে বিজেপি দলের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে, পেশায় চিকিৎসক কার্যত শান্ত স্বভাবের মৃগাঙ্কবাবুর বিরুদ্ধে এধরনের পোস্টার সেঁটে দেওয়ার ঘটনা কে করল তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেও এধরনের কাজ করে থাকতে পারে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের মত। আবার দলেরই একাংশ এই ঘটনায় বিজেপিকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, তৃণমূলের চিকিৎসক প্রার্থীকে হেয় করতেই ভোটে পরাজয়ের পরেও একাজ করেছে বিজেপি। এবিষয়ে মৃগাঙ্কবাবু বলেন, এধরনের কাজ কে করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস তদন্ত করছে। তবে কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই একাজ করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তবে অন্য দলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ রূপে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, আমরা দলের কাজে জেলার বাইরে রয়েছি। ঘটনার কথা সকালেই ফোনে শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে দলের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। বিজেপি কেন এধরনের কাজ করতে যাবে?
এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর কথা পুরুলিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বললেও রবিবার বিকেল পর্যন্ত পুরুলিয়া সদর থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলে জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।