বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তৃণমূলের যুব নেতা তথা শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সন্দীপ সিংহ বলেন, বিজেপি কর্মীরা নানা জায়গায় আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাইক বাহিনী নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ব্যাপক বোমাবাজি করা হচ্ছে।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, শনিবার সকালে পাতরি এলাকায় আমাদের দলের বুথ সভাপতির উপর হামলা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এভাবে ওরা এখনও নানা জায়গায় আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করছে। ভয় দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীরা প্রতিরোধে শামিল হয়েছেন। আমরা সবার কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছি। পুলিস প্রশাসনেরও এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহর বাড়ি মহাশোল গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। তাঁর ভাইকে মারধর করা হয়। মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়। শনিবার সকালে বালিঝুড়ি গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট চালানো হয়। চকতারিনি গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর গাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়। দু’জায়াগাতে বোমাবাজি করা হয়। একইভাবে শৌলা, গোদাপিয়াশাল, ভাদুতলা, দেউলকুণ্ডা, বড়াকুলি, বাকিবাঁধ সহ বিভিন্ন গ্রামে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিলখুলা বুথে এদিন বিকেলে ভাঙচুর চালিয়ে তৃণমূলের কার্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, বাসিন্দারাই প্রতিরোধে নেমেছেন। এদিন মণ্ডলকুপিতে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যদিও পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
অন্যদিকে, কেশিয়াড়ির আমলাশাই, কানপুর, ইন্দ্রা সহ কয়েকটি গ্রামে বিজেপি হামলা করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পবিত্র শীট বলেন, বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ভাঙচুর করে ও লুটপাট চালায়। দলের নেত্রী তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামনি মাণ্ডি বলেন, বাঘাস্তি সহ পাশাপাশি এলাকায় বিজেপির বাইক বাহিনী নানাভাবে তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়া কেশপুরের বিভিন্ন গ্রামে বিজেপি তাদের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একদল যুবক বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বিজেপির পতাকা তুলছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে, তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস বন্ধ রাখতে হয়েছে। দলের নেতা ও কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ও বিজেপি সেজে সিপিএমের হার্মাদরা অত্যাচার চালাচ্ছে। এবার আমরা রাজনৈতিকভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আমরা ভোটে জিতে কখনও সন্ত্রাস করিনি। আমরা সন্ত্রাসের পক্ষে নই।
অপরদিকে, গড়বেতায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। শনিবার সকালে শঙ্করকাটা গ্রামে তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।