বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এব্যাপারে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত বলেন, দল বাঁকুড়ায় প্রার্থী দেয়নি। আবার কোন দলকে সমর্থন করব তাও বলে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেও প্রদেশ নেতৃত্বের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ফলে আমরা চরম দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছি। এভাবে কতদিন রাজনীতি করতে পারব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, লালামাটির জেলা বাঁকুড়ায় কোনওদিনই কংগ্রেসের সংগঠন তেমন মজবুত ছিল না। হিন্দু মহাসভার পর বামেদের হাতঘুরে এজেলার রাজনীতির রাশ বর্তমানে তৃণমূলের হাতে রয়েছে। ২০১৪সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলমাধববাবু বাঁকুড়া আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ‘নোটার’ থেকেও কম ভোট পান। নোটা প্রতীকে ২৩হাজার ৬৬২টি ভোট পড়ে। অন্যদিকে, নীলমাধববাবু পান ২২হাজার ৮টি ভোট। বিধানসভাভিত্তিক তিনি রঘুনাথপুরে ৪হাজার ১২টি, শালতোড়ায় ২হাজার ৪৮৩টি, ছাতনায় ৩ হাজার ২৮৯টি, রানিবাঁধে ২ হাজার ৮৫৭টি, রাইপুরে ২ হাজার ৬৭১টি, তালডাংরায় ২ হাজার ৭৮৪টি, এবং বাঁকুড়ায় ৩ হাজার ৯১২টি ভোট পান।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় দুই বছরের মাথায় কংগ্রেসের প্রতীকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে শম্পা দরিপা ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ভোট পেয়ে তৃণমূলকে পরাজিত করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে থাকা বাঁকুড়া শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে নীলমাধববাবু বা শম্পাদেবী ‘লিড’ পাননি। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল বড় ব্যবধানে জয় পায়। অথচ ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে কাউন্সিলার তথা জেলা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হন। এব্যাপারে রাধারানিদেবী বলেন, শহরের সচেতন ভোটাররা যখন যাঁকে যোগ্য ভাবেন তাঁকে ভোট দেন।
বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, কংগ্রেস বিগত নির্বাচনগুলিতে কখনও তৃণমূলের সঙ্গে, আবার কখনও সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়েছে। ফলে সাধারণ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা দলীয় নেতৃত্বের উপর ভরসা হারিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে কে শত্রু আর কে মিত্র তা তাঁরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। ফলে কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক আমাদের দখলেই আসবে।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, চিরশত্রু সিপিএমের সঙ্গে জোট গড়ার ফলে প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবারও বিজেপি বিরোধী সমস্ত ভোট আমাদের দলের প্রার্থী পাবেন।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, বাঁকুড়ায় কংগ্রেস দুই শতাংশের কম ভোট পায়। ওই ভোট নিয়ে আমরা বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছি না। তবে দেশের স্বার্থে এবার বাঁকুড়ার ধর্মনিরপেক্ষ সমস্ত মানুষ আমাদের ভোট দেবেন।