বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে, এদিন আগাগোড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। সিপিএম নিয়ে একটি কথা খরচ না করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে তিনি বলেন, বিমানবাহিনীর জঙ্গি নিকেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে যেন জৌলুস চলে গিয়েছিল। মনে হয় তাঁর কোনও নিজের লোক মেরে দিয়েছে। মমতা দিদি, আপনার সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে ইলু ইলু করার থাকলে করুন। আমরা বিজেপি এসব করি না। এছাড়াও তৃণমূল সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য নয়, নিজের পার্টির গুন্ডাদের জন্য এই শাসন চালাচ্ছে। তবে জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও এবিষয়ে তিনি নীরব ছিলেন।
তবে, অমিত শাহের মন্তব্য নিয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্য তথা শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, শিক্ষার অভাব, শিক্ষার দরকার। এত রাজনীতির অবনতিও।
বীরভূমে বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এদিন গণপুরে সভা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। একাধিকবার তাঁর জেলা সফর বাতিল হওয়ার পর তিনি অবশেষে এসে পৌঁছনোয় প্রখর রোদেও কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বক্তব্যের প্রথমেই চমক দিতে গিয়ে জেলার নানা আবেগকে তুলে ধরতে যান অমিত শাহ। কিন্তু প্রথমেই কবিগুরুর জন্মস্থান গুলিয়ে ফেলে বিতর্ক বাড়ান। এদিকে, তারাপীঠে শ্মশানের উন্নয়ন নিয়ে হাইকোর্টের মামলার কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, মহাশ্মশানের ঐতিহ্য ভুলে উন্নয়নের নামে তার পরম্পরাকে নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। মোদি সরকার হওয়ার পর সেখানকার নিজস্ব সংস্কৃতি মেনে মহাশ্মশানের উন্নয়ন করা হবে। এলাকার আদিবাসীদের উপস্থিতি দেখে তিনি একাধিক আদিবাসী উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এরপরই তিনি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, তাঁদের সরকার এলে ৯০ দিনের মধ্যে চিটফান্ডের জড়িতদের জেলে ঢোকাবে। তিনি বলেন, তৃণমূল বাংলাকে কাঙাল করেছে। বিজেপিই পারে সোনার বাংলা গড়তে। এদিনের সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও জেলায় দুই বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল ও রামপ্রসাদ দাস।