বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এই ব্লকের বাজার হাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি কার্যালয় সবই লোহাপুরে হওয়ায় নিত্যদিন তাঁদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। চার কিমি রাস্তার দু’কিমি পাকা হলেও বাকি রাস্তা এখনও মোরামের। মেরামতির অভাবে মোরামের রাস্তাটি বড় বড় গর্তে ভরে গিয়েছে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে মরণফাঁদ তৈরি হয়। প্রায়ই স্কুলের ভ্যান, টোটো, সাইকেল ও বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। বেহাল রাস্তার জেরে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢোকে না। কৃষিজ পণ্য ভ্যান রিকশয় করে বাজারে নিয়ে যেতেও এলাকার চাষিদের অসুবিধা হয়। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পোলিও বয়কটও করেন। কিন্তু তাতেও রেল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিন শতাব্দী রায় এই গ্রামে প্রচারে আসেন। গ্রামবাসীরা তৃণমূল প্রার্থীকে কাছে পেয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন। এব্যাপারে শতাব্দীদেবী বলেন, ওই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি রেলের অধীনে। তাই রেলের অনুমতি নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা যায় কিনা তা দেখব। এদিন এই ব্লকের নবগ্রাম, টিঠিডাঙা, শালসাণ্ডা, বিরলচৌকি, নিধিয়া সহ একাধিক গ্রামে ছোট ছোট পথসভার মাধ্যমে প্রচার সারেন এই তারকা প্রার্থী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন নলহাটি-২ ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারী, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু জাহের রানা প্রমুখ। এদিন কোথাও প্রার্থীকে নতুন ধানের শিষের গোছা তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান গ্রামবাসীরা। কোথাও আবার প্রার্থীর পাশে আছি বলে বার্তা দিতে দেখা যায়। প্রার্থীও গ্রামবাসীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত হন। প্রতিটি সভাতেই নকল ইভিএম দেখিয়ে ৫ নম্বর বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান শতাব্দীদেবী। সভাগুলিতে সংসদ তহবিল ও রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন তিনি।
শতাব্দীদেবী বলেন, বর্তমান সরকার যা উন্নয়ন করেছে, তা কোনও সরকার করেনি। সুতরাং আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে ভোট চাইছি। যে সরকারি সুযোগ সুবিধা আপনারা পাচ্ছেন, সেগুলি আরও বেশি করে পাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আমরা যখন সলমন, শাহরুখ খানের ছবি দেখি, তখন তো ভাবি না ওরা কোন ধর্মের। ভালো কাজ, ভালো অভিনয় দেখি। তাই ধর্ম নয়, কর্ম দেখে ভোট দেবেন। আমরা কাজ করেছি, তার প্রমাণ দিয়েছি। তাই যে মানুষটা কাজ করেন তাঁকেই ভোট দিন। এদিন প্রতিটি সভাতেই সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সেই সঙ্গে তারকা প্রার্থীর সঙ্গে সেলফি তোলার হুড়োহুড়িও পড়ে যায়। শতাব্দীদেবী বলেন, দশ বছর আগে আমাকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস যেমন ছিল আজও তেমন রয়েছে। বিভাসবাবু বলেন, এই ব্লক থেকে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন শতাব্দী রায়।