বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বিকেলে নলহাটির কাঁটাগড়িয়া ও মুরারইয়ের রুদ্রনগরে সভা করেন তিনি। সভায় বক্তব্যের শুরুতেই হাসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একমাত্র আটকাতে পারে তৃণমূল। তাই প্রাক্তন বীরভূম কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি আমাদের দলে যোগদান করেছেন। কিন্তু জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক এখনও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছেন। সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলানো মানে, বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া। পরোক্ষে মিল্টন বিজেপির সুবিধা করছেন। রুদ্রনগরের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শার নাম না আক্রমণ করে বলেন, ওরা পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করবেন বলছেন। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে ক্ষমতা থাকলে এখানে এনআরসি করতে আসুন। বাংলার মানুষ ঠ্যাং ভেঙে দেবে। কারণ, আমরা সবাই মিলেমিশে সুখে শান্তিতে ভালো আছি। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ করতে আসবেন না। বাংলার মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা আছে। সে নাম তোমরা মুছতে পারবে না।
কংগ্রেসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বাবার সম্মান দিই। ছোটবেলায় প্রণববাবু জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিতাম। কিন্তু, আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে যারা গান্ধীজিকে হত্যা করেছে, সেই আরএসএসের সভায় প্রণববাবু চলে গেলেন। তাই কংগ্রেসকে বিশ্বাস করবেন না। সিপিএমকেও বিশ্বাস করবেন না।
এদিন দুবরাজপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দলকে পরোক্ষে শাসিয়ে বলেন, যারা ভোট লুট করতে আসবে, ভয় দেখাতে আসবে, বলবেন, পিঠে যেন সরষের তেল মাখিয়ে আসে। শুকনো লাঠি কেটে রেখেছি আমরা। বাঁশের লাঠি পিঠে পড়লে হাসপাতালে যেতে হবে। হাসপাতালের বেড যেন বুক করে আসে। ছ’মাস শুয়ে থাকতে হবে। উত্তরে ফিরহাদ হাকিম ব্যঙ্গ করে বলেন, জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা দিলীপের মাথা নড়ে। আমরা তো লাঠি রাখি না! লেঠেলদের নিয়ে রাজনীতি করি না! আমরা সমাজসেবকদের নিয়ে রাজনীতি করি! তিনি বলছেন, শতাব্দী রায় স্নো পাউডার মেখে ঘুরছেন। আমি বলছি, নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্যের দিকে তাকাতে নেই। রামের ভাই লক্ষণ সীতার পায়ের দিকে তাকাতেন। এটাই ভারতের সংস্কৃতি। দিলীপ ঘোষের সেই শিক্ষা নেই। বিজেপি দল মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। মোদির নাম করে তিনি বলেন, উনি আচ্ছে দিনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু, আদানি-আম্বানিদের আচ্ছে দিন এসেছে। তিনি কোনওদিন কারও অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ দেবেন না। তিনি বলছেন, ম্যায় ইমানদার চৌকিদার হুঁ। বাংলায় একটা কথা আছে, নিজেকে যে বড় বলে, বড় সে নয়। লোকে যারে বড় বলে, বড় সেই হয়। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একজনই রয়েছেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মোদিকে হটাতে শতাব্দী রায়কে ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।
এদিন ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দু’টি সভাতেই মানুষের ভিড় হয়েছিল যথেষ্ট। সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য প্রমুখ।