বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, বাংলা নববর্ষ শুরু হল। এই নতুন বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ হোক। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মানুষজন সুখী হোক। তাঁরা শান্তিতে থাকুন। তিনি বলেন, এদিন কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির, বর্ধমানেশ্বর, সর্বমঙ্গলা মন্দির এবং বড়মা কালীমন্দিরে গিয়েছি। তিনি বলেন, সাঁইবাড়িতে শহিদদের প্রণাম জানিয়েছি। ছাত্র জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সন্ত্রাসের রাজনীতির পরিণতি কী হয় সাঁইবাড়ি তার প্রমাণ। তাই শহিদদের প্রণাম করে এলাম।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা বলেন, নতুন বছরে সকলেই ভালো থাকুক এটাই মায়ের করে প্রার্থণা করেছি। সকলের মঙ্গল কামনা করেছি। পাশাপাশি মায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইছি। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সর্বমঙ্গলা মায়ের কাছে মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে ভালো থাকেন এবং আমাদের দল ৪২এর ৪২টি আসন পায় সেটাই কামনা করেছি।
এদিন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদার কালনা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। শ্মশানকালী মন্দিরেও পুজো দেন। পাশাপাশি কালনা শহরে জনসংযোগ সারেন। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস সকালে কালনার মহিষমর্দিনী ঘাটে যান। সেখানে স্নানে আসা পুণ্যার্থীদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় সারেন। তারপর মহিষমর্দিনী মন্দিরে যান। সেখান থেকে সোনাপট্টি এলাকায় গিয়ে ভোট প্রচার সারেন। এদিন কালনার নিভুজিতে বিজেপি-র কার্যালয়ে এসেছিলেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সংগঠক শিবপ্রকাশ। প্রার্থীর প্রচার এবং ভোটের রণকৌশল নিয়ে পরেশচন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথা বলেন ওই সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা। বিজেপি প্রার্থী বলেন, নতুন বছর সকলের ভালো হোক। প্রত্যেকের মঙ্গল কামনা করেছি। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের হাত থেকে রেহাই চাইছেন বাংলার মানুষ। মানুষ যাতে বছরভর ভালো থাকেন সেটাই কামনা করেছি।
এদিন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদার কালনায় সিদ্ধেশ্বরী মন্দির ও শ্মশানকালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বলেন, আমি এদিন কালনায় দুই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছি। মানুষের মঙ্গল কামনা করেছি। সেখানে ভোট চাইতে যাইনি। কিন্তু, মন্দিরে আসা ভক্তরা আমাকে দেখে জানালেন, এবার কেন্দ্রে কংগ্রেস আসা খুব দরকার। আমি তাতে উৎসাহ পেলাম। তবে, প্রথম দফায় নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে। সাধারণ মানুষের করের টাকায় নির্বাচন। আর সেটা ঠিকমতো সম্পন্ন করতে না পারাটা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা। প্রত্যেকে যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে ভোট দতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি নির্বাচন কমিশনের।
এদিন মেমারি-১ ব্লকের আমাদপুরে ভোট প্রচার সারেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল মণ্ডল। বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক তাতে শামিল হন।