বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগে সভাস্থলে পৌঁছে যান তৃণমূলের তারকা নেতা দেব। সভা বেলা ২টো নাগাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, শুরু হয় বেলা ১২টা নাগাদ। ফলে বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে দেখতে পাননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন নগর গ্রামের পীরতলা মাঠে ওই জনসভা ছিল। সেইমতো এদিন বেলা ১১টা ৪৫মিনিট নাগাদ সেখানে সভার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছিল। কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। মঞ্চে মাইক বাঁধার কাজ চলছিল। এমনকী তখনও সভাস্থলে দলীয় নেতারাও এসে পৌঁছননি। ছিল না পর্যাপ্ত পুলিসও। সেইসময় সভাস্থলের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে অনেকে হাজির হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে নামেন দেব। সটান মঞ্চে হাজির হন। ততক্ষণে দলীয় নেতৃত্ব ও পুলিসের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই খড়গ্রাম থানা থেকে প্রচুর পুলিস আসে সভাস্থলে। আসেন দলীয় নেতারা।
এদিকে, মঞ্চে এসেই প্রধান বক্তা ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সভাস্থলের কাছে এক দলীয় নেতার বাড়িতে যান। এবিষয়ে দেব বলেন, প্রথমে অমি সভামঞ্চে এসে চমকে গিয়েছিলাম। কেউ কোথাও নেই কেন বুঝতে পারছিলাম না। পরে বুঝতে পারি ভুল করে এখানে আগেই চলে এসেছি। এরপর তিনি বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফের মঞ্চে আসেন। ততক্ষণে এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা সভায় আসেন। সভায় কেবলমাত্র খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখেন। এরপর অভিনেতা দেব বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বাংলার মা-মাটি-মানুষের দল উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এখানকার দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমানকে ব্যাপক লিড দেওয়া প্রয়োজন।
সভার পর তিনি ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। এরপর বেলা ২টা ২০নাগাদ ফের হেলিকপ্টারে করে চলে যান। এদিকে অনেকে দেবকে দেখতে পাননি। অনেকে আফশোস করে বলেন, টিভিতে কিংবা সিনেমায় দেখেছি, সামনাসামনি একবার দেবকে একবার দেখতে পেলাম না! দেব সাংবাদিকদের বলেন, দু’ঘণ্টা আগেই আমার হেলিকপ্টার নেমেছিল। প্রথমে ফাঁকা থাকলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই এখানে হাজার দশেক লোক চলে আসেন। মানুষের এই উৎসাহ দেখে বলা যায় এই আসনে দলীয় প্রার্থী অবশ্যই জয়ী হবেন। ১০০শতাংশ জয় নিশ্চিত। তবে সময়ের হেরফেরের কারণে অনেকে আমাকে দেখতে পেলেন না। সেকারণে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এদিন সভা চলাকালীন সভামঞ্চের সামনে অনেককে হুড়োহুড়ি করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী মঞ্চেও অনেকে উঠে পড়েন। এব্যাপারে কান্দি মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি সফিউল আলম খান বলেন, আমরা কারও ক্ষতি চাই না। নিরাপত্তার কথা ভেবে বিরোধী দলের তারকার আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি মফিজউদ্দিন মণ্ডল বলেন, অভিনেতা দেবের নিরাপত্তার দায়িত্ব দলীয় কর্মীরাই তুলে নিয়েছিলেন। মানুষই দেবের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।