বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কংগ্রেস জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন, আশা করছি দ্রুত দুটি আসনেরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে নাম ঘোষণা হলেই আমরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি তথা বোলপুরের নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রার্থী ঘোষণা হতে দেরি হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যা হলেও মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে, যত দ্রুত প্রার্থী ঘোষণা হয়, ততটাই সুবিধা। আমরা চাই স্থানীয় কোনও যোগ্য লোককে প্রার্থী করা হোক।
বীরভূমের দু’টি আসনেই চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে। সোমবার ২ এপ্রিল থেকেই মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভোট ঘোষণা হওয়ায় ১৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তাই শাসকদল তৃণমূল যখন প্রাথমিক পর্যায়ের প্রচার সেরে মনোনয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস দু’টি আসনে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে জট তৈরি হয়। বামেরা বীরভূমের প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় প্রদেশ কংগ্রেসের গোঁসা হয় বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমনকী জোটও ভেঙে যায়। কিন্তু জোট ভাঙার পরেও বীরভূম জেলার দু’টি আসনেই রবিবার পর্যন্ত প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই দীর্ঘদিনের জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মিও দল ছেড়েছেন। তার উপর প্রার্থী নিয়ে টালবাহানায় জেলার নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।
অন্যদিকে, বোলপুর আসনের ক্ষেত্রে আরএক সর্বভারতীয় দল বিজেপির একই অবস্থা। গতবারের তৃণমূলের টিকিটে জয়ী বোলপুর আসনের বিদায়ী সংসদ সদস্য অনুপম হাজরাকেই এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু তাঁকে যাদবপুরে প্রার্থী করা হলেও বোলপুর আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি।
সেই সুযোগে কার্যত ফাঁকা মায়দানে প্রচারে ঝড় তুলেছেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। বীরভূম কেন্দ্রে শতাব্দী রায় ও বোলপুর কেন্দ্রে অসিত মালের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁরা প্রচারে নেমে নিজেদের জমি শক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে প্রচার, দেওয়াল লিখন সবকিছুতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সভাও শুরু করে দিয়েছে তারা। এদিকে, বামেরাও বীরভূমে রেজাউল করিম ও বোলপুরে রামচন্দ্র ডোমকে প্রার্থী করে কিছুটা প্রচারে জোর দিয়েছে।
গতবারের কংগ্রেসের হয়ে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তপন সাহা বলেন, প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। প্রচারের প্রথম থেকে ঝড় তুলতে না পারলে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আমরা প্রার্থীর নামই বলতে পারছি না।
গতবারের বীরভূম আসনের কংগ্রেস প্রার্থী বর্তমানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, সঠিক সময়ে নাম ঘোষণা না করতে পেরে প্রথমেই লড়াইয়ে হেরে বসে আছে কংগ্রেস। দলের কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই এই অবস্থা। জেলা সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ওরা আসলে প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছিল না। তাই এই অবস্থা হয়েছে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কারও অস্তিত্ব নেই।