বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য তথা দলের জেলা কমিটির সভাপতি নরহরি মাহাত। নরহরিবাবু বামদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করার জন্য বিজেপির পুরুলিয়া জেলার একঝাঁক নেতা আবেদন করলেও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে প্রথম সারিতেই রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে আসা নরহরিবাবু। নরহরিবাবু বিজেপির প্রার্থী হলে আখেরে বামেদের লাভ দেখছে ফরওয়ার্ড ব্লকের পুরুলিয়া জেলা কমিটি।
দলের পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মিহির মাঝি বলেন, বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে সেটা তাদের দলের বিষয়। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। আমরা বিজেপি, তৃণমূল ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করব। তবে আমাদের দল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো নরহরিবাবু বিজেপির প্রার্থী হলে বামপ্রার্থীর আখেরে লাভ হবে একথা ঠিক। নরহরিবাবুকে বিজেপি প্রার্থী করলে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতি নরহরিবাবুর বিশ্বাসঘাতকতা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হবে। বামফ্রন্টের টিকিটে এমপি হওয়ার পরেও টিকিটের আশায় নরহরিবাবু গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় তাঁকে হারাতে কর্মীরা মরিয়া চেষ্টা করবেন।
তিনি আরও বলেন, নরহরিবাবু গত কয়েকবছর পুরুলিয়া জেলা ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রশাসনিক এবং দলগত মুখ ছিলেন। অনেক কর্মী ব্যক্তিগতভাবে নরহরিবাবুর প্রতি ক্ষোভে দল ছেড়েছিলেন। তাঁদেরও দলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া নরহরিবাবু তো পদে থেকে অনেকের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। উনি ফের বিজেপির প্রার্থী হলে তাতে আখেরে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর লাভ নিশ্চিত।
এবিষয়ে আবার খানিকটা ভিন্নমত রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অসীম সিনহার। তিনি বলেন, ফরওয়ার্ড ব্লক তথা বামফ্রন্টের প্রার্থীর লড়াই দলগত ভাবে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই দলের প্রার্থী যিনিই হোন না কেন ফরওয়ার্ড ব্লক লড়াই করবে এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করবে। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী কে হল তা বড় বিষয় হবে না।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা নরহরি মাহাতকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি দলের মিটিংয়ে রয়েছি। এবিষয়ে পরে কথা বলব।
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নব্যেন্দু মাহালি বলেন, নরহরিবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বামেদের টিকিটে আগেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর ব্যর্থতা পুরুলিয়া জেলার সাধারণ মানুষ দেখেছেন। তাই বিজেপি ফের এমপি হিসেবে ব্যর্থ এবং বামেদের পুরনো মুখ নরহরিবাবুকে প্রার্থী করলে তৃণমূলের অবশ্যই লাভ হবে। বামেদের ব্যর্থ মুখকে সামনে রেখে যে বিজেপি এগতে চাইছে তা সাধারণ মানুষের কাছে ফের প্রমাণিত হবে।