বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন অপরূপা পোদ্দার। একই আসনে সিপিএমের প্রার্থীও ছিলেন শক্তিমোহন মালিক। বিজেপি ও কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও আরামবাগে তৃণমূল ও সিপিএমের পুরনো মুখই এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে তৃণমূলের জেতা প্রার্থীর পক্ষে আরামবাগ তাদের লড়াই কিছুটা সহজ হলেও সিপিএমের হেরো প্রার্থী কতটা ভোট টানতে সক্ষম হবে সেটাই এখন দেখার।
গত লোকসভা নির্বাচনে খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দারের ভোট ছিল ১লক্ষ ১৯হাজার ২২৫। শক্তিবাবু দ্বিতীয় স্থানে থেকে ভোট পেয়েছিলেন ৪৩হাজার ৫৫৭টি। গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট ছিল ১লক্ষ ৩হাজার ৩৩৭। সিপিএমের ভোট ছিল ৫৭হাজার ৫৮২টি। আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ১লক্ষ ৫হাজার ৪৪৯টি এবং সিপিএমের ৫৪হাজার ২৮২টি ভোট ছিল। একইভাবে পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ও সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে ১লক্ষ ৫হাজার ৩৬৪টি এবং ৫৩হাজার ৭৯৮টি। মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলের থেকে প্রায় অর্ধেক ভোট পেয়ে সিপিএম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এছাড়াও বিজেপি তৃতীয় এবং কংগ্রেস চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল।
কিন্তু, এবার আরামবাগ মহকুমায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেক বদল হয়েছে। বিজেপি এলাকায় তার শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছে। ভোটে ভালো ফলাফলের সম্ভাবনাও দেখছে বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের দাবি, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের পর আরামবাগে সিপিএমের সংগঠন কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। তাছাড়া তাদের সেভাবে রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচিও দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনেও গত বারের শক্তিমোহন মালিককেই সিপিএম প্রার্থী করেছে। সিপিএমের একাংশের দাবি, নতুন মুখ না থাকার জেরেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অন্য কারও কথা ভাবেনি।
তবে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই শক্তিমোহনবাবু আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দলীয় কর্মীরা যেমন দেওয়াল লিখন করছেন, তেমনই শক্তিমোহনবাবু নিজে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি আরামবাগ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে হেঁটে প্রচার করেছেন। শক্তিমোহনবাবুর ব্যক্তিগত ইমেজ তাঁকে কিছুটা হলেও বাড়তি সুযোগ দেবে।
সিপিএমের আরামবাগ এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারলে গতবারের তুলনায় আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা জেতার জন্যই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। সেইমতো আমরা ভোট ময়দানে নেমেছি। তাই সব মানুষের সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল, সিপিএম উভয়ের বহু ভোটই কেটে আমাদের দিকে আসবে। ফলে গতবারের তুলনায় আমাদের ভোট বৃদ্ধি অনেকটাই হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে আমরা আরামবাগ লোকসভা আসনে জয়ী হতেও পারি।
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, আমাদের এবার ভোটের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পাঁচ লক্ষেরও বেশি। বিরোধীদের থেকে এবারও আমাদের ভোটের ব্যবধান বাড়বে।