বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এব্যাপারে হাঁসখালির বিডিও উৎপল পাৎসী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।
এবিষয়ে বিএলও কৃষ্ণধন বিশ্বাস বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। কিন্তু বিধান বিশ্বাস নামে ওই যুবক আমার পালিত ছেলে। ওর বাবা-মা নেই। তাই আমি ওর বাবার দায়িত্ব পালন করেছি। তাই ওর নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে। আমি একটি অসহায় ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছি এতে কোনও ভুল নেই। আমি এই এলাকার বিএলও-র দায়িত্বে থাকলেও আমার সই ছাড়াই অনেকে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবচন্দ্রপুর এলাকায় বিএলও-র দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী কৃষ্ণধন বিশ্বাস। তিনি কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার শিবচন্দ্রপুরের ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলার কাজের দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ, কৃষ্ণধনের এক ছেলে ও এক মেয়ে থাকা সত্ত্বেও তিনি বিধান বিশ্বাস নামে এক যুবকের বাবা সেজে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। এমনকী, পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্রটি ভুয়ো।
এবিষয়ে বগুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান পীযূষকান্তি কুণ্ডু বলেন, আমার সই নকল করে ওই শংসাপত্র বানানো হয়েছে। শংসাপত্রে যে তারিখ ব্যবহার করা হয়েছে সেইসময় আমি পঞ্চায়েত প্রধান পদে ছিলামই না। হাঁসখালি ব্লক বাংলাদেশ সীমান্তে থাকায় বাংলাদেশি বহু মানুষ অবৈধভাবে কাঁটাতার পার করে এদেশে আসে। পরে তারা অবৈধভাবে এই সমস্ত কাগজপত্র নকল করে ভোটার তালিকায় ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নাম তোলে। এমনকী মৌসুমী বিশ্বাস ভোটার তালিকায় এক মহিলার নাম তুলতে তাঁর বাবা হিসেবে নথিতে দেখানো হয়েছে বিএলও কৃষ্ণধন বিশ্বাসের দাদাকে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই দু’জন এই গ্রামের বাসিন্দাই নয়।