বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
একমাস আগে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ খসড়া বাজেট পেশ করে। জেলা পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের পাশাপাশি সেই পুস্তিকা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, পঞ্চায়েত সমিতি সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, সেই বাজেট নিয়ে কোনও আপত্তি বা প্রস্তাব জেলা পরিষদে দাখিল হয়নি। তাই বাজেট সংশোধনের প্রয়োজন পড়েনি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে সেই খসড়া বাজেটই চূড়ান্ত বলে পাশ করা হয়েছে। বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাধিপতি। সভায় মেন্টর ও কো-মেন্টর সহ জেলা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০আর্থিক বছরের বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮৯কোটি ২৭লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে পরিকল্পনা খাতে ৯২৯কোটি ৯৫লক্ষ ৮১ হাজার টাকা এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৫৯কোটি ৩১লক্ষ ৫২হাজার টাকা ধরা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত আইন মেনে সর্বসম্মতিক্রমে ওই বাজেট পাশ করা হয়েছে। এবার এই বাজেটকে সামনে রেখে জেলার উন্নয়নমূলক কাজে জোর দেওয়া হবে। রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য ও এসএসকে-এমএসকে প্রভৃতির পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে হাঁস, মুরগি, ছাগল পালনে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও বেশি করে নিযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি আর্থিক বছরের চেয়ে আগামী আর্থিক বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ কমানো হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-’১৯আর্থিক বছরের বাজেটের পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বর্হিভূত খাত মিলিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১১০৩কোটি ২১লক্ষ ২৩হাজার টাকা। এবার বাজেটে প্রায় ১১৩কোটি ৯৩লক্ষ ৯হাজার টাকা কম ধরা হয়েছে। এবার বাজেটে অর্থ কমানোয় বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছে। তাদের একাংশের ধারণা, রাজ্য সরকার বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় বাজেট কমানো হয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্যরা অবশ্য বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বন সহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার প্রভাব বাজেটে পড়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় আরও ২৬টি রাস্তা সংস্কার ও সাতটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে ২৬টি ব্লক এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে বেহাল রাস্তা ও সেতুর তালিকা তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ২৬টি বেহাল রাস্তা মেরামত এবং সাতটি সেতু তৈরির ডিপিআর তৈরি করা হয়। ওই তালিকা অনুসারে কান্দি, নওদা, খড়গ্রাম, ভরতপুর, সাগরদিঘি, রঘুনাথগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় সেতুগুলি তৈরি করা হবে।
বাজেট সভার পর জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, ওই রাস্তা ও সেতুগুলি তৈরি করতে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ করা হবে। এজন্য ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্পগুলির জন্য বরাদ্দ মিলবে বলে আশা করছি।