বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভৈরবের জেঠু বিশ্বনাথ বাউরি বলেন, আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেছি। পুলিস ও চাইল্ড লাইনকেও বিষয়টি জানিয়েছি। তাছাড়া মেলাগুলিতে এখান থেকে যারা যাচ্ছে তাদেরও বলা হয়েছে। কিন্তু, ওর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ভৈরব ছোট থেকে জেঠু-জেঠিমার কাছেই মানুষ। ভৈরবের বাবা তারাপদ বাউরি এবং মা মিঠু বাউরি ঠিকা শ্রমিকের কাজের সূত্রে কর্ণাটকের সিদ্ধাপুরায় থাকেন। বছর ১৫-র ওই ছাত্র স্থানীয় তিলাবনী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। গত ২৪তারিখ রাতে সে খাবার খেয়ে তার জেঠতুতো দাদা ভিক্ষুক বাউরির সঙ্গে মাটির ঘরের দাওয়ায় ঘুমোচ্ছিল। সকালে উঠে ভিক্ষুক দেখে, ভৈরব বিছানায় নেই। পরে পরিবারের লোকজন প্রথমে হীড়বাঁধের এক গৃহশিক্ষকের কাছে তার খোঁজ নেন। সেখানে তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ভাবেন, হয়তো বড়দিনে মুকুটমণিপুরে বেড়াতে গিয়েছে। কিন্তু, ওইদিন সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
ছাত্রটির পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সে পড়াশুনো সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ও জামাকাপড় নিয়ে সাইকেলে চেপে পালিয়েছে। এদিকে, খবর পেয়েই কর্ণাটক থেকে ভৈরবের বাবা-মা গ্রামে ফিরে আসেন। তারাও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেছেন। তারাপদবাবু বলেন, খবর পেয়ে ওখান থেকে ফিরে আসি। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার ছেলের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, এখনও কোনও সন্ধান পাইনি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পড়াশুনোয় মধ্যমেধার হলেও ভৈরবের ক্রিকেটের প্রতি মারাত্মক ঝোঁক ছিল। এই বয়সে সে নিয়মিত ক্রিকেট খেলত। তাছাড়া সন্ধ্যার পর ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালও দেখার ঝোঁক ছিল। তিরশুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভৈরবের প্রতিবেশী দীপক মণ্ডল বলেন, ও খুব কম কথা বলত। পড়াশোনা করলেও খেলাধুলোয় ওর বেশি নেশা ছিল। কিন্তু, ওর পালিয়ে যাওয়ার কারণটি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। হীড়বাঁধ থানার পুলিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে।
খাতড়ার এসডিপিও বিবেক বর্মা বলেন, ওই ছাত্রের সন্ধানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছি। ওর সন্ধান পেলেই পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হবে।