বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন টিঙ্কুবাবু বলেন, কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে দলের আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সময় পুলিস আমাকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন ইচ্ছাকৃতভাবে গণ্ডগোল করার জন্য ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কাদা ছিটিয়ে দিয়েছিল। ওই কেসে আমরা ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। জামিন অযোগ্য ধারায় পুলিস মামলা দেয়। কিন্তু, যে দলের জন্য আমাকে জেল খাটতে হয়েছিল, তারা কোনওদিন খোঁজ নেয়নি। জেল থেকে বের করে আনার চেষ্টাও করেনি। আমার নিজের উদ্যোগেই জামিন হয়। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরেও কেউ আমার খবর নেয়নি। অথচ জেলা সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতি বার্নপুরে লিট্টি খাওয়ার উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন। তাঁরা একবারও দেখা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি। এখানকার সংসদ সদস্য নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া কাউকে চেনেন না। একটি পরিবারকেই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। বুথস্তরের কর্মীদের কোনও দাম ওঁর কাছে নেই। ক্ষোভের সুরে তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে দল করছিলাম। কিন্তু, পরে দেখলাম, যাঁরা পুরনো দিনের নেতা, তাঁদের সাইড করে দেওয়া হচ্ছে। ধান্দাবাজ নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নেতারা সবকিছু জানার পরেও তোলাবাজদের প্রথম সারিতে আনছেন। নিয়ামতপুর এলাকায় আমি নিজের হাতে বিজেপির সংগঠন মজবুত করেছিলাম। ওদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সবাইকে তৃণমূলে নিয়ে যাব। তৃণমূলের নেতারা বিজেপির থেকে অনেক ভালো।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ওঁকে ভয় দেখিয়ে এইসব কথা বলানো হচ্ছে। রাজ্যের সব জায়গাতেই তৃণমূল একই পন্থা নিয়েছে। টিঙ্কুবাবু জেলে থাকার সময় আমরা ভালো উকিল দিয়ে জামিনের চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, উনি আবার আমাদের দলে ফিরে আসবেন। তবে এখন তিনি কোনও পদে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে তৃণমূলের ব্রিগেডের সমর্থনে ইস্কো বাইপাস থেকে লছিপুর গেট পর্যন্ত মিছিল হয়। কর্মসূচিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, টিঙ্কুবাবু আমাদের দলে আসার জন্য আবেদন করেছিলেন। উনি দক্ষ সংগঠক। ওঁকে আগামীদিনে আমরা কাজ করার সুযোগ দেব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে দলের সংগঠন আড়াআড়িভাগে বিভক্ত। একটা অংশ জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। এমনকী কয়েকজন প্রথম সারির নেতা দলের কর্মসূচিতে তেমনভাবে অংশগ্রহণও করছেন না বলে অভিযোগ। অথচ বিগত লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বড় ভূমিকা ছিল। দলের বিভাজন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে পদ্ম শিবিরের একটা বড় অংশ মনে করছে।