বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা নির্মল চট্টোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি কাটোয়ার দাঁইহাটে। সেখানে তাঁর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা রয়েছেন। বছর কুড়ি আগে এখানে এসে আর একটি বিয়ে করে সংসার পাতেন। এখানেও তাঁর তিন পুত্র রয়েছেন। তাঁরা এখানে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কিন্তু, বর্তমানে নির্মলবাবু চোখে ভালো দেখতে পান না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ করার ক্ষমতাও হারিয়েছেন। তাই সন্তানরা আর তাঁর দেখাশোনা করতে চান না বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা বলেন, ঠিকমতো চিকিৎসার বযবস্থা করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কাউন্সিলার বলেন, আমি বহু বছর ধরে নির্মলবাবুকে চিনি। তাঁর জন্য একটি ত্রিপল, কম্বল, চাদর ও পোশাকের ব্যবস্থা করেছি। ওঁর স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। মহকুমা শাসকের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলব।
নির্মলবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী বলেন, একসময় প্রচুর অর্থ রোজগার করেছেন। দু’হাতে টাকা উড়িয়েছেন। কিন্তু সংসার, সন্তানদের জন্য খরচ করতেন না। বহু কষ্ট করে নিজে খেটে সন্তানদের বড় করেছি। আজও আমরা ভাড়াবাড়িতে থাকি। বাড়ির মালিক বলেছেন ওঁকে বাড়িতে রাখা যাবে না। তাই বাড়ির পাশে রাখা হয়েছে। চোখে ভালো দেখতে পান না। পাশের পুকুরে কয়েকবার পড়ে গিয়েছিলেন। তাই পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ওঁকে ভালো চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তিনবেলা আমাদের যা খাবার জোটে তা-ই দিয়ে আসি।
নির্মলবাবু বলেন, আজ স্ত্রী, সন্তানরা থাকতেও আমি অসহায়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এটা আমার জীবনের কর্মফল।