বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলার একটিমাত্র বিধানসভা কেন্দ্রে ভিভিপ্যাটের ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটে জেলার সমস্ত বুথেই ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। কিন্তু, নয়া এই ভোটগ্রহণ মেশিন সম্পর্কে অধিকাংশ জেলাবাসীর সঠিক ধারণা নেই। তাই জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রচার অভিযানে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২২টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। ভিভিপ্যাটের ব্যবহার সম্পর্কে গ্রামবাসীদের বোঝাতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১০জন করে মাস্টার ট্রেনার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত। এদিন জেলা ট্রেনিং সেন্টারে তাঁদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়। শিবিরে প্রশিক্ষক হিসেবে ওসি ভিভিপ্যাট সুমন পোদ্দার ও ডেপুটি ডিএলএলআরও কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দু’টি পর্যায়ে ২২০জন বিধানসভা ভিত্তিক মাস্টার ট্রেনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে ব্যালট ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট ও ভিভিপ্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত বোঝানো হয়েছে। চলতি মাসেই তাঁরা এ ব্যাপারে সেক্টর পর্যায়ে দু’জন করে রিসোর্স পার্সনকে প্রশিক্ষণ দেবেন। কমিশনের নিয়ম অনুসারে ৫-১০টি করে বুথ নিয়ে সেক্টর গড়া হয়েছে। এরপর তাঁরা স্কুল, কলেজ, শপিংমল, হাট, বাজার, ব্যাঙ্ক প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে ভিভিপ্যাট প্রদর্শন করবেন। কীভাবে ভিভিপ্যাটে ভোটদানের পদ্ধতি, বোতাম টেপার পর কতক্ষণ ভোটদান কক্ষে অপেক্ষা করতে হবে,এসব তাঁরা আমজনতাকে বোঝাবেন। জেলার ওসি ভিভিপ্যাট বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনেকদিন আগেই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ উঠে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। তা হলেও বিগত দিনে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের পর ইভিএমে কারচুপি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তাই ভোটে স্বচ্ছতা আনতে এবার লোকসভা ভোটে ভিভিপ্যাট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএমের বোতাম টেপার পর তা পছন্দের প্রতীক চিহ্নে পড়ল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারতেন না ভোটাররা। তাই ভোটের পর অনেক প্রশ্ন উঠতো। সেসব প্রশ্ন এড়াতেই এবার লোকসভা ভোটে ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। নিজের ভোট পছন্দের প্রতীক চিহ্নে পড়ল কি না তা ভিভিপ্যাটের বোতাম টেপার পর দেখে নিতে পারবেন ভোটাররা।