বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খেজুরি থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস বলেন, মূলত সাংসারিক অশান্তি, বনিবনা না হওয়া প্রভৃতি কারণে দীনেশ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করছি। এই ঘটনায় প্রথমে কোনও অভিযোগ না হওয়ায় আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করি। খেজুরি ও নন্দীগ্রামের সীমানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতের দিকে গৃহবধূর বাপেরবাড়ির লোকজন এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। দীনেশের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে দক্ষিণ তল্লা গ্রামের বাসিন্দা মান্টিদেবীকে বিয়ে করে দীনেশ। তার হেঁড়িয়া বাজারে পানের দোকান রয়েছে। তাঁদের দুটি কন্যাসন্তান হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপর নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত দীনেশ। প্রায়শই বাপেরবাড়িতে চলে যেতেন মান্টিদেবী। স্ত্রীকে বাপেরবাড়ি থেকে ফিরে আসার জন্য সবসময় চাপ দিত দীনেশ। কিন্তু বর্তমানে পারিবারিক অশান্তির জের এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, দু’জনে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছিলেন। পারিবারিক ঝামেলার জেরে বিগত কয়েকমাস ধরে দীনেশের পানের দোকানেরও ঝাঁপ বন্ধ রয়েছে। মান্টিদেবী প্রায়ই বাপেরবাড়িতে আসার কারণে দীনেশ স্ত্রীকে সন্দেহও করত বলে জানা গিয়েছে। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দীনেশ শ্বশুরবাড়িতে যায়। সেখানে স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় লুকিয়ে রাখা অ্যাসিডের বোতল থেকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। যন্ত্রণায় মা ও দুই মেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে অভিযুক্ত ছুটে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশী মহিলা গৌরী কর বলেন, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল,তা আমরা বুঝতে পারছি না। আর এক বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন, ওদের এই পারিবারিক সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে অনেকবার সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। কিন্তু দীনেশ আচমকা এই কাণ্ড করায় আমরা রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছি। আমরা পুলিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।