বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসিএলের এই আবাসনগুলিতে অধিকাংশ ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা থাকেন। তাঁদের অনেকেই ছুটিতে নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। কোনও পরিবারের লোকজন আবার অন্য কোনও কাজে বাইরে গিয়েছেন। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা লুট করেছে। প্রত্যেকটি আবাসনের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তারা তাণ্ডব চালায়।
প্রসঙ্গত, একমাস ধরে প্রায় প্রতি রাতেই শিল্পাঞ্চলের কোনও না কোনও বাড়িতে চুরি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আসানসোলের মহিশীলায় পরপর দুটি বাড়িতে চুরি হয়। তার চারদিন পর কল্যাণপুর হাউসিংয়ে দুষ্কৃতীরা তিনটি এটিএমের মেশিন ভেঙে লুটের চেষ্টা করে। তার আগে অণ্ডালে একটি সোনার দোকানে চুরি হয়। এছাড়া ওই থানা এলাকাতেই একই রাতে পরপর চারটি বাড়িতে চুরি হয়। রানিগঞ্জেও একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। পরপর চুরি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
কুনস্তরিয়ার বাসিন্দা শঙ্কর পাশোয়ান বলেন, পরপর চুরির ঘটনা ঘটছে। ওই রাতে দুষ্কৃতীরা আমার বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিস কড়া পদক্ষেপ নিলে এমনটা হতো না। এখন বাড়ি ছেড়ে যেতেই ভয় লাগছে।
ওই এলাকার আরএক বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী বলেন, পরপর অপরাধ করার পরেও পুলিস কেন দুষ্কৃতী দলটিকে ধরতে পারছে না তা বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে পুলিসের প্রতি জনতার আস্থা থাকবে না। শুধু আবাসন এলাকা নয়, দুষ্কৃতীরা সব জায়গাতেই চুরি করছে।
পুলিস প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, চুরির পিছনে নেশায় আসক্তরা রয়েছে। নেশার খরচ জোগাড় করতে তারা কখনও এটিএমের মেশিন ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করছে, আবার কখনও ফাঁকা বাড়িতে চুরি করছে। স্থানীয় দুষ্কৃতীরা চুরির সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ।