নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বিতাল পেশায় কৃষক। বিঘা তিনেক জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালান। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে চারজনের পরিবার। ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। চাষাবাদ করে কোনওরকমে সংসার চলে। ধার করে মধুমিতার উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন বিতাল। এরপর উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাবেন কীভাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
মাধ্যমিকে খুব একটা ভালো ফল করতে পারেননি মধুমিতা। ৩৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তখনই উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করার জেদ চেপে বসে।
বিতাল বলেন, অভাবের সংসারে মেয়েকে উচ্চমাধ্যমিক পড়াতেই অনেক ধার হয়েছে। মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে চাই। সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য পেলে খুবই ভালো হতো।
মধুমিতার কথায়, আশা করেছিলাম আর একটু ভালো ফল হবে। আপাতত ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। নার্স হয়ে বাবার পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে।
করদহ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরজিৎ দাস বলেন, মধুমিতা এবং আর একজন একই নম্বর পেয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে। মধুমিতার উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এবং স্কুলও পাশে থাকবে। নিজস্ব চিত্র।