পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
মা-বাবার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। শহরে গাছ রোপণের নেশায় পড়ে তাঁর আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। সেরকম কোনও আয়ের উৎসও নেই। কিন্তু আর্থিক প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে নিজের পকেট থেকে কখনও বা কারও সাহায্যে দিনহাটাকে সবুজ শহর করার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন ৫২ বছর বয়স্ক উমাশঙ্করবাবু।
দিনহাটা শহরের বাসিন্দা পরিমল রায়, তাপস সরকাররা বলেন, আমরা ছোট থেকেই তাঁকে দেখে আসছি তিনি রাস্তার ধারে গাছ লাগান। এখন হাসপাতাল মোড় থেকে মহকুমা শাসকের বাংলোর সামনে দিয়ে যে রাস্তাটি গোসানি রোড পর্যন্ত গিয়েছে, সেই রাস্তায় বেশিরভাগ গাছ তিনিই লাগিয়েছেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় তিনি গাছ লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করেন।
উমাশঙ্করবাবু বলেন, ছোটবেলায় মাকে বাড়িতে বিভিন্ন গাছ লাগাতে দেখতাম। সেখান থেকেই গাছ লাগানোর নেশা ধরে আমার। প্রথম দিকে রাস্তার ধারে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করতাম বলে আমাকে অনেকে পাগল বলত। আমি ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগাতে ভালোবাসি। ১৯৯০-৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কয়েক হাজার গাছ লাগিয়েছি। আর্থিক সঙ্কটের কারণে আনেক গাছে ঘেরা দিতে না পারায় সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমি স্বপ্ন দেখি আমার শহর দিনহাটা সবুজ হয়ে উঠেছে। অনেকে এখন আমাকে সহযোগিতা করছেন। তবে সরকারিভাবে এই কাজে সহযোগিতা পেলে খুব ভালো হতো।
দিনহাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, তাঁকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি। দীর্ঘদিন থেকে তিনি বিভিন্ন এলাকায় সবুজকে বাঁচাতে গাছ লাগাচ্ছেন। তাঁর এই কাজ খুবই প্রশংসার। আমরা পুরসভার তরফেও এনিয়ে চিন্তাভাবনা করব। তাঁকে সামনে রেখেই শহরে সবুজের অভিযান অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। নিজস্ব চিত্র।