পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
স্তূপ। নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত ছাড়া গতি নেই। পুর পরিষেবার এই বেহাল দশা নিয়ে শহরবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, বেতন বকেয়া থাকায় কিছুদিন ধরে সাফাই বন্ধ রেখেছেন অধিকাংশ পুরকর্মী। ফলে দিনের পর দিন আবর্জনা জমলেও সেগুলি কেউ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন না।
কোথাও পাড়ার মোড়ে দীর্ঘদিনের জমে জঞ্জাল, কোথাও আবার ট্যাপকলের চারপাশে আবর্জনা। শহরের এই দৃশ্য মোটেই পছন্দ নয় পুরবাসীর। গরম তীব্র হতেই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় নাগরিকরা। সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, পুরকর্মীরা বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন না। শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে, তা থেকে রোগ ছড়ানো অবশ্যম্ভাবী। উকিলপাড়ার বাসিন্দা চুমকি চক্রবর্তী বলেন, রায়গঞ্জ স্টেশনের কাছে সমস্ত জঞ্জাল ফেলা হলেও সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করছেন না পুরকর্মীরা। দুর্গন্ধে নাজেহাল দশা। নিকাশি নালাতেও আবর্জনা জমে থাকছে।
এদিকে বেতন না মেলায় সাফাইয়ের কাজ বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার সাফাই কর্মী সত্যরঞ্জন সরকার। তবে পুরসভার সঙ্গে আলোচনার পর সাফাই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, একমাসের বেতন পেয়েছি। ২২ মে সম্পূর্ণ বেতন দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুরসভা। বকেয়া বেতন না পেলে ২৩ মে থেকে পুরসভার সাফাই কর্মীরা বিক্ষোভে বসবেন।
শহরের এই দশা এবং সাফাইকর্মীদের বকেয়া প্রসঙ্গে পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বকেয়া বেতন নিয়ে সাফাই কর্মীদের সঙ্গে জট কেটেছে। শহরজুড়ে আবর্জনার স্তূপ একদিনে সরানো সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। শহর নিজের রূপ ফিরে পাবে। নিজস্ব চিত্র।