সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ধীরগতিতে কাজ চলার অভিযোগ মানতে চাননি কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন। তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাটি সম্প্রসারণ হলে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে।
মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, প্রথম ধাপে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ৩৫ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই রাস্তাটি কোচবিহার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাস্তার কাজের সূচনা হয়। কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্য প্রতিমা দেব বলেন, ইতিমধ্যেই রাজ্য সড়কের চ্যাংরাবান্ধার দিক থেকে জামালদহ পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে। রাস্তার মধ্যে একাধিক সেতুর কাজ এখন চলছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সড়কটি সাত মিটার থেকে চওড়া করে ১০ মিটার করা হচ্ছে। দু’দিকে দেড় মিটার করে আরও তিন মিটার প্রশস্ত হবে রাস্তাটি। খুব শীঘ্রই ৩৫ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মেখলিগঞ্জের সিপিএম নেতা বিপিন শীল অভিযোগ করে বলেন, প্রায় চার মাস ধরে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তবুও কাজ সমাপ্ত হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাটি খোঁড়াখুঁড়ির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
খুবই ধীরগতিতে রাস্তার কাজ চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা পবন ভাদানী। আর আমরা দু-চারদিন দেখব। কাজের গতি বাড়ানো না হলে, দলের তরফে ব্যাপক আন্দোলনে নামা হবে। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল নেতা রঘু রায় পাখাধরা বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক নয়। যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গেই রাস্তার কাজ চলছে।
পূর্তদপ্তরের মাথাভাঙার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শঙ্কর রায় বলেন, আবহাওয়ার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে দ্রুতগতিতেই কাজ চলছে। আশা করছি, দুর্গাপুজোর আগেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
রাজ্যসড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে।-নিজস্ব চিত্র