সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তিনি বলেন, হবিবপুরে আমার আদিবাসী ভাই-বোনেরা থাকে। এর আগেও হবিবপুরে এসেছি। এবারও সময় করে চলে এসেছি। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাংসদ পর্যন্ত পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই এখানে বিজেপি ভোটে জিতেছে। ওরা জেতার পর উন্নয়ন করে না। প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেতে তৃণমূলকে জেতান। এবার বদলে দিন, পাল্টে দিন।
এদিন দুপুরে হবিবপুর রাইস মিল ময়দানে উত্তর মালদহের দলীয় প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে তৃণমূল সুপ্রিমো জনসভা করেন। আকাশপথে মমতা সভাস্থলে পৌঁছন। তৃণমূল নেত্রীর হেলিকপ্টারের শব্দ শোনামাত্র সভাস্থলে গগনভেদী গর্জন ওঠে। হেলিপ্যাড থেকে সভামঞ্চে যাওয়ার সময় মমতা উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তাঁকেও হবিবপুর বিধানসভাবাসী পাল্টা অভিবাদন জানান।
এদিনের সভাস্থলে উপস্থিত জনতার সিংহভাগই আদিবাসী ও সমাজের প্রান্তিক স্তর থেকে এসেছিলেন। ওই বিধানসভা এলাকায় আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক আগে বামেদের দখলে ছিল। বর্তমানে তা বিজেপি-র ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি। ফলে সেদিকেই মমতা এদিন নজর দেন। তিনি বলেন, আদিবাসীদের সারি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতি চেয়ে আমরা দিল্লির কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার তা দিচ্ছে না। বর্তমানে দেশে আদিবাসীদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি জোর করে কিনে নেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে আমরা আইন করেছি। বিজেপি কিছু করেনি। কেউ জোর করলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবেন। প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব ধর্মকে সমান গুরুত্ব দিই। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেছি। হুল উৎসব পালন করি। আমি এর আগে এই জেলার গাজোলে আদিবাসীদের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। বিজেপি ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা আদিবাসীদের জন্য কী করেছ? এরপর কড়া ভাষায় গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, বিজেপি দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে চাইছে। নির্বাচনী ইস্তেহারে ওরা সেকথা ঘোষণা করেছে। ওই বিধি চালু হলে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্বীকৃতি থাকবে না।
সীমান্তবর্তী হবিবপুরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বিজেপি সবাইকে অনুপ্রবেশকারী বলে দেগে দিতে চাইছে। বাংলার সবাই অনুপ্রবেশকারী হলে, মানুষের ভোটে জেতা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুপ্রবেশকারী বলতে হয়।
তিনদিন আগে পুরাতন মালদহের সাহাপুরের নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় বলে মোদি তোপ দাগেন। এদিন তৃণমূলনেত্রী সেই কথার জবাব দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এদিকে, বীরভূমে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিল নিয়ে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, বিজেপির এক পুলিস আধিকারিকের প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে। আমাদের প্রসূনবাবুও আইপিএস ছিলেন। পুলিসের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি গুলি চালাননি। বরং মালদহের পুলিস সুপার থাকাকালীন অশান্তি থামিয়েছিলেন।