পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কৃষিদপ্তরের বক্তব্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে পাঠানো রিপোর্টে মালদহ সহ উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা লাল দেখানো হয়েছে। তবে উত্তরের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা সম্পর্কে এখনও চিন্তার কিছু বলা হয়নি। কিন্তু তারপরেও এ ধরনের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যেতে পারে।
এই মরশুমে জেলাতে ১৪ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫০৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ২৩ হাজার ৩৫০ হেক্টরে পাট, ৩৬৫০ হেক্টরে বাদাম এবং এখনও ১৩৫০ হেক্টর জমিতে সব্জি রয়েছে। মাঠে থাকা এই ফসলগুলি যাতে রক্ষা করা যায় তারজন্যই এই আগাম সতর্কতা। শুধু তাই নয়, সমস্ত ব্লকে তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্লোজ মনিটরিংয়ের পাশাপাশি অস্বাভাবিক কিছু নজরে এলেই তা দ্রুত জেলা দপ্তরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গরমের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য ব্লক মারফত কৃষকদের বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যারমধ্যে কীটনাশকের ব্যবহার না করা। একান্তই প্রয়োজন হলে কম মাত্রায় খুব সকালে অথবা বিকেলে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। জমিতে সেচের মাধ্যমে জল দেওয়া ছাড়াও ভাগে ভাগে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে।
একদিকে বৃষ্টির অভাব, অন্যদিকে গরমের কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মাঠের ফসল শুকোতে শুরু করেছে। সদর ব্লকের বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা কৃষক দিলীপ মণ্ডল, শঙ্কর সরকার বলেন, ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। জল সেচ করে কাজ হচ্ছে না। দ্রুত বৃষ্টি না হলে সমস্যায় পড়তে হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, পরিস্থিতি এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছয়নি। মাঠের ফসল এখনও ভালো আছে। তবে বৃষ্টির প্রয়োজন আছে। আগাম সতর্কতার জন্য ব্লকগুলিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। যেমন পরিস্থিতি হবে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।