পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার বিকেলের পর থেকে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ হয়েছে। তাই ভোটের আগের দিন কোথায় কী পরিস্থিতি, পর্যবেক্ষণ করতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলল দুই দলের নেতৃত্বের। জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে সুকান্ত বালুরঘাট, তপন বিধানসভা এলাকায় বৈঠক সারেন। অপরদিকে বিপ্লব হরিরামপুর, কুমারগঞ্জ, তপন বিধানসভা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট ম্যানেজাররা বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর ও কুশমণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে লিডের টার্গেট করে এগোচ্ছেন। কীভাবে ভোট করাতে হবে, সেবিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রার্থী ও নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, শক্ত ঘাঁটি হরিরামপুর, কুমারগঞ্জ, ইটাহার বিধানসভাকে টার্গেট করেছেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। তপন, বালুরঘাটে দল ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই বিধানসভাগুলিতে ভোটের রণকৌশল বেঁধে দিতে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিপ্লব। তিনি বলেন, কর্মী ও নেতৃত্বকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছি। একমাস প্রচার করে বুঝেছি কোথায় লিড বাড়বে। সেসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
সুকান্তর কথায়, প্রচার শেষ হলেও বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন বিধানসভার নেতৃত্ব বাড়িতে এসেছিলেন পরামর্শ নিতে। কর্মীদের সঙ্গে দুপুর পর্যন্ত বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। বালুরঘাট, তপন ও কুমারগঞ্জের নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে শেষ মুহূর্তের আলোচনা হয়। তৃণমূল ও বিজেপির জেলা কার্যালয়ে থাকছে কন্ট্রোল রুম। কোনও এলাকায় বুথ জ্যামের খবর পেলেই প্রার্থীরা পৌঁছে যাবেন সেই এলাকায়। বৃহস্পতিবার নিজের দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদে যান সুকান্ত। কথা বলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে। পরে বালুরঘাটের ভাটপাড়া, চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা প্রান্তে গিয়েছিলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দেন তিনি।
ওই দুই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। সেখান থেকে ব্যাপক লিড নেওয়া টার্গেট বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই বালুরঘাট ব্লকের নানা প্রান্তে দিনভর ছুটলেন বিদায়ী সাংসদ। এদিকে সুকান্তের অভিযোগ, এখানে এসে জানতে পারছি, তৃণমূল রাত হলেই ধমকানো চমকানোর চেষ্টা করছে। এমনটা যদি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিতে তেল দিয়ে তৈরি হয়ে আছে, সব ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। পঞ্চায়েতের মতো গুণ্ডামি, মস্তানি করলে বাহিনী খেলে দেবে। পালটা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকীর মন্তব্য, সুকান্ত মজুমদার হাজার দৌড়ালেও লাভ হবে না। আমরাও সবরকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছি। জোর করে বাহিনীকে দিয়ে ভোট নিতে পারবে না।